• ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

দ্রুত এগুচ্ছে সিলেটের একমাত্র মেরিন একাডেমির কাজ

sylhetsurma.com
প্রকাশিত আগস্ট ২৫, ২০১৬

shafiদ্রুত এগিয়ে চলেছে সিলেটের একমাত্র মেরিন একাডেমির নির্মাণ কাজ। ২০১২ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পটি ২০১৫ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় ২০১৮ পর্যন্ত এর নির্মাণ মেয়াদ বাড়ানো হয়। সব ঠিক থাকলে ২০১৮ সালের মধ্যে নির্মাণ কাজ পুরোপুরি শেষ হবে। ৭৮ কোটি ৬১ লক্ষ টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। কাজ শেষ হলে ঐ বছর থেকেই ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সিলেট শহরতলীর বাদাঘাট চেঙ্গেরখাল নদীর তীরে গড়ে উঠছে সিলেট মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং একাডেমি। বর্তমানে ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে চারতলা ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। একাডেমি সূত্র জানায়, ২০১২ সালের মে মাসে দেশে ৪টি মেরিন একাডেমি নির্মাণের অনুমোদন দেয় একনেক। অনুমোদনের পর বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও পাবনায় এ ৪টি মেরিন একাডেমির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ঐ বছরই। সিলেটে মেরিন একাডেমি বাস্তবায়ন করছে গণপূর্ত বিভাগ। সূত্রে জানায়, মেরিন একাডেমি স্থাপনের লক্ষ্যে ২০১২ সালের জুন মাসে বাদাঘাট এলাকার চেঙ্গেরখাল নদী সংলগ্ন ১০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করে গণপূর্ত বিভাগ। ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে প্রাথমিক অবস্থায় স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে সমস্যার কারণে ২ বছর পিছিয়ে পড়ে এ একাডেমি নিমার্ণের কাজ। পরে স্থানীয় গণ্যমান্যদের সহযোগিতায় সমস্যা সমাধান হওয়ার পর ২০১৫ অর্থবছরের জানুয়ারি মাস থেকে পুরোদমে নির্মাণ কাজ শুরু করে গণপূর্ত বিভাগ। এখানে একাডেমিক ভবন, ডরমেটরি ভবন, কমান্ডেন্টের বাসভবন, ডেপুটি কমান্ডেন্টের ভবন, ৫টি কোয়ার্টার, শিক্ষার্থীদের সুইমিং পুল, প্যারেড স্কোয়ার্ড থাকছে। যা হবে একটি পূর্ণাঙ্গ মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং একাডেমি। যাতে শিক্ষার্থীরা উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হতে এখানে পড়াশোনা করতে পারবে। এখানে সব ধরনের সুবিধা রাখতেই প্রকল্পটি বড় আকারেই নেয়া হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, চেঙ্গের খাল নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে উঠছে সিলেট মেরিন একাডেমি। ইতোমধ্যে ২টি ৪ তলা ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। খুব শীঘ্রই ভবনের অন্যান্য কাজ শুরু হবে। এখন আরেকটি ভবনের পাইলিংয়ের কাজ চলছে। স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে আলাপকালে জানা যায়, মেরিন একাডেমী নির্মাণের জন্য গণপূর্ত বিভাগ যে জায়গা অধিগ্রহণ করেছিল তারা সে জায়গায় মাটি ভরাট না করে স্থানীয় কৃষকদের ক্ষেতের জমিতে মাটি ভরাট শুরু করে আর সে বিষয়টি এলাকাবাসীর নজরে আসলে তারা মাটি ভরাটে বাধা দেয়। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্টরা ভূমি অধিগ্রহণের কাগজ দেখে নির্দিষ্ট স্থানে কাজ শুরু করে। আর এজন্য দুই বছর নির্মাণ কাজ কাজ বন্ধ ছিল। তারা আরও বলেন, আমরা চাই এখানে মেরিন একাডেমি হোক। এখানে মেরিন একাডেমী হবে এটা সিলেটবাসীর গৌরব। সিলেট গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মিজানুর রহমান জানান, ২০১২ সালে একনেক থেকে এই প্রকল্পটি তাদের দেওয়া হয়। সে জন্য তারা বাদাঘাটে ১০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করে ৭৮ কোটি ৬১ লক্ষ টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেন। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সময় বেধে দেওয়া হয়েছিল ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত। কিন্তু শুরুতে ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে ঝামেলা থাকার কারণে তারা প্রকল্পটির কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়। তাই তারা সময় চেয়ে নিয়েছেন। তিনি আরও জানান, প্রকল্পের কাজ পুরোদমে শুরু করতে পেরেছি ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ইতিমধ্যে ৩০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ সচল আছে। এখন ভবন নির্মাণের কাজ চলছে, খুব শীঘ্রই এ কাজ শেষ হবে। ২০১৮ সালের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ৮ মে নৌ ও পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান মেরিন একাডেমী প্রকল্প পরিদর্শন করেন এবং কাজের অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু মন্ত্রণালয় পক্ষ থেকে জানানো হয়, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও পাবনা মেরিন একাডেমিতে ২০১৭ সাল থেকে ক্যাডেট ভর্তির কার্যক্রম শুরু হবে। তবে সিলেটে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হতে আরও ১ বছর লেগে যাবে।