• ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ব্যবসায়ী মামুন হত্যা মামলা ডিবিতে

sylhetsurma.com
প্রকাশিত আগস্ট ২৬, ২০১৬

স্টাফ রিপোর্টার ::: জিন্দাবাজারের ব্যবসায়ী করিম বক্স মামুন হত্যা মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশে স্থানান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মামলাটি ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল আহমদ মামলাটি ডিবি’তে স্থানান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ১৬ আগস্ট জিন্দাবাজারের এলিগ্যান্ট শপিং কমপ্লেক্স এর ব্যবসায়ী করিম বক্স মামুন মার্কেটের সামনে সন্ত্রাসীদের হাতে ছুরিকাহত হন। ওসমানী হাসপাতালে ভর্তির পর ওই দিন রাতেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলসহ তারেক আহমদ নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে নগরীর শিবগঞ্জ থেকে আটক করে। এর পর ১০ দিন অতিবাহিত হলেও মূল আসামী ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত সোলেমানসহ অপরাপর আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে মামুন হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ও খুনীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে ব্যবসায়ী স্বার্থ সংরক্ষণ পরিষদের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  বৃহস্পতিবার বিকেলে জিন্দাবাজার পয়েন্টে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তারা দ্রুত প্রকৃত খুনীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পরিষদের আহ্বায়ক কিবরিয়া হোসেন নিঝুমের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব মোঃ. এহসানুল হক তাহেরের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খান লিটন, সাংগঠনিক সচিব মো. জাকারিয়া ইমরুল, নিহত মামুনের পিতা আনোয়ার বকস ভুলু, চাচা আলহাজ্ব বাবর বক্স, আলা বকস রুকন, অপু  বক্স, হুমায়ুন বক্স, মিতু, শমসের বক্স, মোতালিব ভিলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাওলানা ফিরোজ উদ্দিন, শুকরিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল হামিদ চৌধুরী, ওয়েস্ট ওয়ার্ল্ড ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন খান। এলিগ্যান্ট শপিং মলের ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক ফয়জুল হাসান প্রমুখ।সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর শাহানা বেগম শানুর স্বামী স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা তাজুল ইসলাম হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব পাচ্ছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রহমত উল্লাহ সংবাদ মাধ্যমকে মামলা স্থানান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। দু’একদিনের মধ্যে আলোচিত এই হত্যাকান্ডের মামলার নথিপত্র তাদের কাছে স্থানান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি। পূর্ব বিরোধের জের ধরে ২০ আগস্ট রাত ১০টার দিকে বাসায় ফেরার পথে খুলিয়াপাড়ার গরম দেওয়ান মাজারের সামনে সন্ত্রাসীরা তাকে উপর্যুপুরি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে ওই দিন রাত সাড়ে ১১টায় অপারেশন থিয়েটারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।এ ঘটনার পর শানু বাদি হয়ে ১৫জনকে আসামী করে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১১জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো ২-৪ জনকে আসামি দেখানো হয়।এর আগে ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারী লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করে শানুর কলেজ পড়ুয়া ছেলে সোহানকে (১৮)। এ ঘটনার এক বছর পর গত বছরের ২০ ডিসেম্বর গরম দেওয়ান মাজারের সামনে হামলার শিকার হয়েছিলেন তার বড় ছেলে রায়হান (২৫)।
সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে আহত করার পাশাপাশি চোখে মরিচের গুড়ো ও চুন ঢেলে দিলে তার চোখ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া সে জীবনে কখনও স্বাভাবিক চলাচল করতে পারবে না। ওইদিন ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে শানুও আহত হয়েছিলেন ।