• ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

জৈন্তাপুরে জনসচেতনতার অভাবে প্রসবকালে মা ও শিশুর মৃত্যু

sylhetsurma.com
প্রকাশিত আগস্ট ২৯, ২০১৬

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি :::::
জৈন্তাপুরে জনসচেতনতার অভাবে প্রস্রাবকালে মা ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন উঠেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রোববার সকাল ৮টায় প্রসব বেদনা দেখা দেয় জৈন্তাপুর উপজেলার ডৌডিক গ্রামের এক সন্তানের মাওলানা মোক্তাদির আহমদের স্ত্রী শামীমা বেগম (২২)। কিন্তু পরিবারের সদস্যরাই কোন প্রকার ডাক্তারী পরামর্শ ছাড়াই বাড়ীতে বাচ্চা প্রসবের চেষ্টা করে। কিন্তু অনায়াসে আর বাচ্চা জন্ম দিতে পারেনি হতভাগা মা শামীমা। অবশেষে হাসতাপালে মৃত সন্তানের জন্ম দিলেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সকাল অনুমান ৯টায় নিকত্মায়ীরা শামীমা বেগম (২২)কে জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন বাচ্চা প্রসব পরবর্তী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ঘটনায়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক ভূমিষ্টকৃত ছেলে শিশু ও মাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, শামীমা গর্ভবতী হওয়ার সংবাদ পেয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ডাক্তারসহ এনজিও সংস্থার মমতা প্রকল্পের একদল ডাক্তার কাউন্সিলিংয়ের জন্য স্বামীর বাড়ীতে যান। কিন্তু মাওলানা পরিবার এবং পূর্বে কাউন্সিলিং ছাড়াই প্রথম সন্তানে জন্মগ্রহণ হয়েছে মর্মে তারা চিকিৎসক দলকে ফিরিয়ে দেন। চিকিৎসক দলটি একাধিকবার স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার কথা জানালে তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ডাক্তার বলেন, সরকার মা ও শিশু রক্ষার জন্য বিনা খরচে বাড়ী বাড়ী পৌছে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের এবং বিভিন্ন এনজিও সংস্থার কর্মীরা কাউন্সিলিংসহ নিয়মিত স্বাস্থ্যবার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। এমনকি গর্ভবর্তী মাকে নিয়মিত চিকিৎসাসেবা, পরামর্শসহ প্রসবের নানাবিধ পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু এই পরিবার অসচেতনতার কারণে শামীমার ভাগ্যে ঘটেছে বিরল ঘটনা তিনি আরও বলেন, কাউন্সিলিং এর জন্য শামীমার বাড়ীতে সরকারি-বেসকারী স্বাস্থ্য সেবাকর্মীর গিয়ে মাওলানা পরিবার হওয়ার কারণে পরামর্শ ও চিকিৎসাসেবা না দিয়েই ফেরত আসতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, উপজেলার কিছু কিছু গ্রামে এখনও শরিয়তের দোহাই দিয়ে কাউন্সিলিং গ্রহণ না করায় প্রসবকালীন সময় মাতৃমৃত্যুর ঘটনা ঘটে। বিগত কয়েক বৎসরের মধ্যে পরিবারিক ভাবে প্রসবকালীন সময়ে মা ও নবজাতকের মৃত্যু হল।
জৈন্তাপুর উপজেলা জেলা মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে বিভাগের মধ্যে অনতম অবস্থানে চলে যাচ্ছে। শামীমার ঘটনাটি শুধুমাত্র পরিবারের সচেতনতার অভাবে হয়েছে। ঘটনাটি আমাদের সবাইকে মাতৃমৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করবেÑ এমনটাই সচতেন মহলের দাবি।