• ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মীর কাসেমের মৃত্যুদন্ড বহাল আদেশ একটি অসাধারণ মুহূর্ত

sylhetsurma.com
প্রকাশিত আগস্ট ৩০, ২০১৬

সিলেট সুরমা ডেস্ক::::: মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনালের অন্যতম প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদন্ডের রায় বহাল আদেশ একটি অসাধারণ মুহূর্ত।
মীর কাসেমের মৃত্যুদন্ডের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ হওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তুরিন বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মীর কাসেম আলীর মামলাটি ছিল একটি ভিন্ন ধরণের মামলা। তাই এ মামলা নিয়ে চ্যালেঞ্জও ছিল বেশি। শেষ পর্যন্ত আমরা বিজয়ী হয়েছি। তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত রায়ে মীর কাসেমের মৃত্যুদন্ড বহাল থাকায় প্রসিকিউটরদের যোগ্যতা বিষয়টি এখন আপেক্ষিক। কারণ চুড়ান্ত রায়ে তার মৃত্যুদন্ড বহাল রইল। এটি একটি অসাধারণ মুহূর্ত। এ প্রসিকিউটর বলেন, মীর কাসেম আলীকে বলা হয় জামায়াতে ইসলামীর খাজাঞ্জি। সে দলটির অর্থের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। এ বিচার বানচাল এবং ফাঁসি ঠেকাতে দেশে বিদেশে বহু লবিস্ট নিয়োগ করেছিল। নানা ষড়যন্ত্র করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এক প্রতিক্রিয়ায় জাহাঙ্গিরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, এ রায়ে জাতি কলংমুক্ত হবে। রায় যুগান্তকারী ও ঐতিহাসিক। দেরীতে হলেও নির্যাতিতরা স্বস্তি পাবে। যুদ্ধাপরাধীদের সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার দাবী জানান তিনি। আজ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমারসিনহার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ মীর কাসেম আলীর রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়ে মৃত্যুদন্ড বহাল রাখেন। মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর দুটি অভিযোগে মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে ৮ মার্চ আপিল বিভাগ কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসীম উদ্দিন হত্যা সংক্রান্ত অভিযোগে মীর কাসেমের মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে রায় দেয়। এছাড়াও আরও ছয় অভিযোগে মোট ৫৮ বছরের কারাদন্ডের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
গত ৬ জুন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। নিয়ম অনুযায়ী রায়ের কপি হাতে পাওয়ার ১৫ দিন পার হওয়ার আগেই গত ১৯ জুন রায় রিভিউ চেয়ে আবেদন করে মীর কাসেম। আজ তার রিভিউ খারিজ করে আদেশ দেয় আপিল বিভাগ।