• ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে

sylhetsurma.com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৬

স্টাফ রিপোর্টার ::::: সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএসএম কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহন পিছিয়েছে। বৃহস্পতিবার ধায্য তারিখে ১৪ আসামী আদালতে উপস্থিত থাকলেও সাক্ষীরা না আসায় এ সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছেন সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মকবুল আহসান। আগামী ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন বিচারক।
ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর বলেন, গতকাল সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত না হওয়া আগামী ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর পূর্ণরায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ দিয়েছে আদালত। তবে গতকাল আদালতে যথাসময়ে মামলার আসামী সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ব্যাতীত সিসিকের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, জি.কে গৌছ, হরকাতুল জিহাদের  (জেএমবি) শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হানান, ইয়াহিয়া, দেলোয়ার হোসেন রিপন, মুফতি মঈন উদ্দিন, মহিবুল্লাহ ওরফে মুহিব, শরিফ সাইফুল, মাওলানা শেখ ফরিদ, বদরুল আলম, মাও: শেখ আব্দুস সালাম, হাফিজ নাঈম, মাও: আব্দুল মাজেদ বাট ও মিজানুর রহমান মিটু আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, এ চাঞ্চল্যকর মামলায় ১৭১ সাক্ষীর মধ্যে গত বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর)  পর্যন্ত ১৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। কিবরিয়া হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ৩২ আসামির মধ্যে ৮ জন জামিনে, ১৪ জন কারাগারে ও ১০ জন পলাতক রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। হামলায় নিহত হন কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জের তৎকালীন মেয়র জি কে গৌছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে কিবরিয়া হত্যা মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন।