• ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ঈদুল আযহা উপলক্ষে সুনামগঞ্জে ভিজিএফের চাল বিতরণ

sylhetsurma.com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৬

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সহ ১১ উপজেলা ও ৪ পৌরসভায় জেলার ১ লাখ ৫৯ হাজার ৩৩১ টি ভিজিএফ কার্ডধারী সদস্যেদের মধ্যে শুক্রবার সকাল থেকেই চাল বিতরন কাযক্রম শুরু করা হয়েছে। পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে  ১৫৯৩.৩১ মেট্রিক টন ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা থেকে।
হত দরিদ্র প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রত্যেক পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয়া হলেও এবারের ঈদুল আযহায় বরাদদ্দের পরিমাণ অর্ধেক কমিয়ে দেয়া হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখার সূত্রে জানা যায়, তাহিরপুরের ৭ ইউনিয়নে ১০ হাজার ১১১টি, জামালগঞ্জের ৫ ইউনিয়নে ৭ হাজার ৯৬৬ টি,  ধর্মপাশার ১০ ইউনিয়নে ১০ হাজার ৩৪৪টি জগন্নাথপুরের ৮ ইউনিয়নে ১৮ হাজার ৬৩টি, দক্ষিণ সুনামগঞ্জের ৮ ইউনিয়নের ৮ হাজার ৫৫০টি, ছাতকের ১৩ ইউনিয়নে ২৮ হাজার ৭০টি, দোয়ারাবাজারের ৯ ইউনিয়নে ১০ হাজার ৫১৫ টি, দিরাইয়ে ৯ ইউনিয়নে ১৬ হাজার  ৪৫৬ টি, শাল্লার ৪ ইউনিয়নের ৮ হাজার ১০৪ টি, সদরের ৯ ইউনিয়নে ১৮ হাজার ৩০১ টি ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ৫ ইউনিয়নের ৭ হাজার ৪৪৭টি কার্ডের বিপরীতে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ শুক্রবার থেকেই শুরু করা হয়েছে।
অপরদিকে জেলার জগন্নাথপুর পৌরসভায় ৩ হাজার ৮১টি কার্ডের বিপরীতে ৩০.৮১০ মেট্রিক টন,  ছাতক পৌরসভায় ৪ হাজার ৬২১টি কার্ডের বিপরীতে ৪৬.২১০ মেট্রিক টন,  দিরাই পৌরসভায় ৩ হাজার ৮১টি কার্ডের বিপরীতে ৩০.৮১০ মেট্রিক টন ও সুনামগঞ্জ পৌরসভায় ৪ হাজার ৬২১টি কার্ডের বিপরীতে ৪৬.২১০ মে.টন চাল বরাদ্দ দেয়ার ও সব কটি পৌর সভাতেও চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। শুক্রবার দিনভর তাহিরপুর উজেলার বাদাঘাট সহ সাতটি ইউনিয়ন ঘুওে দেখা গেছে কার্ডধারীর সংখ্যার চেয়ে ভিজিএফর চাল নিতে আসা লোকজনের সংখ্যা কয়েকগুন বেশী।
এসব বরাদ্দের বিপরীতে সকল উপজেলার নির্বাহী অফিসার, পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণকে দুঃস্থ, অতিদরিদ্র ব্যক্তি বা পরিবারকে ভিজিএফ প্রদানে অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য চিঠিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।  এছাড়াও  অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, , স্কুলগামী শিশুকে উপার্জনের জন্য কাজ করতে হয়, স্বামী পরিত্যক্ত, বিচ্ছিন্ন বা তালাকপ্রাপ্ত,প্রতিবন্ধি, যেসব পরিবারের মালিকানায় বসতভিটা ছাড়া কোন জমি নেই, দিন মজুরের আয়ের উপর নির্ভরশীল, মহিলা শ্রমিকের আয় বা ভিক্ষাবৃত্তির উপর নির্ভরশীল, উপার্জনক্ষম পূর্ণ বয়স্ক কোন পুুরুষ সদস্য নেই, যে পরিবারের সদস্যরা দু’বেলা খাবার পায় না তাদের ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ১০ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. নাছির উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার  থেকে জেলা ও সংশ্লিস্ট উপজেলার খাদ্য গোদাম থেকে বৃহস্পতিবার  চাল উত্তোলন করার পর শুক্রবার থেকে চাল বিতরণ কাজ শুরু করা হয়েছে এবং ঈদুল আযহার আগের দিন পর্য্যন্ত বিতরণ কাজ শেষ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, ভিজিএফের চাল জেলা ও উপজেলা খাদ্য গোদাম থেকে বিতরণ কেন্দ্র পর্যন্ত পৌছানোর পরিবহন ও আনুসাঙ্গিক খরচ সরকারি খাত থেকে বহন করা হবে পরবহন ব্যায় দেখিয়ে কোন অজুহাত সৃষ্টি করে চাল বিতরণের সময় কম দেয়া যাবেনা।