• ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

হুমকিতে ‘অ্যালার্ট’ জারি

sylhetsurma.com
প্রকাশিত অক্টোবর ১, ২০১৬

সিলেট সুরমা ডেস্ক : পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি) ভারতে হামলা চালানোর হুমকি দেয়ায় দেশটিতে একমাসের ‘অ্যালার্ট’ (সতর্কতা) জারি করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এলইটি প্রধান হাফিজ মোহাম্মদ সাঈদ বলেন, “খুব দ্রুত ভারত বুঝতে পারবে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক কীভাবে করতে হয়, তা আমরা ভারতকে শেখাব।”
এর আগে একাধিকবার ভারতে হামলা করেছে এলইটি জঙ্গিরা। এ কারণে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হাফিজের হুমকিকে গুরুত্ব দিচ্ছে ভারত। যেকোনো হামলা ঠেকাতে গোটা দেশকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শুক্রবার ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক এক বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় বলে শনিবার আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। বৈঠক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সভাপতিত্বে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তারা নিয়ন্ত্রণরেখা এবং সীমান্তে বিক্ষিপ্ত হামলার সম্ভাবনাসহ আসন্ন একাধিক চ্যালেঞ্জের বিষয়ে আলোচনা করেন।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দু-তিন মাসে কাশ্মীরে অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে শ’খানেক জঙ্গি ভারতে ঢুকে পড়েছে। তারা এবার নাশকতা চালাতে সক্রিয় হতে পারে। একারণে জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় ভারতের সব রাজ্যে আগামী এক মাসের জন্য ‘অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে।
ভারতে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে দেবীপক্ষ। এই উৎসব দীপাবলি পর্যন্ত চলবে। এ কারণে সারা মাস জুড়েই দেশের বিভিন্ন শহরে নাশকতার আশঙ্কা করছেন গোয়েন্দারা। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, রাজধানী দিল্লি ও পাকিস্তান সীমান্ত ঘেঁষা জম্মু ও কাশ্মীর, রাজস্থান, গুজরাট এবং পাঞ্জাবের মতো রাজ্যগুলিকে বিশেষ ভাবে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।
সতর্কতার অংশ হিসেবে রেল ও বিমানবন্দরগুলিতে অতিরিক্তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হামলার আশংকায় সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামের বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানোর কাজও শুরু হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বাংকার তৈরির কাজও চলছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের উরিতে সন্ত্রাসী হামলায় ১৯ জন ভারতীয় সেনা নিহত হন। এ ঘটনার পর গত বুধবার রাতে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ‘সার্জিক্যাল’ হামলা চালায় ভারত। এতে ২ জন পাকসেনা এবং অন্তত ৪০ জঙ্গি নিহত হয়।