• ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

খাদিজা হত্যা চেষ্টা মামলার তদন্ত শেষ : হাসপাতালের প্রতিবেদন পেলেই অভিযোগপত্র

sylhetsurma.com
প্রকাশিত অক্টোবর ১৩, ২০১৬

স্টাফ রিপোর্টার : দেশজুড়ে ঝড় তোলা কলেজ ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিস হত্যাচেষ্টা মামলায় তদন্ত কাজ শেষ করেছে পুলিশ। স্কয়ার হাসপাতালের প্রতিবেদন পেলেই এই মামলার অভিযোগপত্র প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা। অপরদিকে, চাঞ্চল্যকর এই মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটি। অভিযোগপত্র প্রদানের পরই এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক। গত ৩ অক্টোবর বিকেলে সিলেট এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলমের চাপাতির কোপে গুরুতর আহত হন সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিস। বর্তমানে তিনি ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে জীবনমৃত্যর সন্ধিক্ষণে আছেন। হামলার পরদিন খাদিজার চাচা বাদী হয়ে নগরীর শাহপরান থানায় বদরুলকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এই মামলার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (দক্ষিণ) বাসুদেব বণিক বলেন, মামলার তদন্তকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই এই মামলাটির তদন্ত করছি। যাতে আসামী ফাঁকফোঁকর দিয়ে বেরিয়ে আসতে না পারে এ বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকেও মামলাটির তদারকি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, খাদিজা এখন রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এই হাসপাতালের প্রতিবেদন পেলেই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হবে। আর খাদিজার বাবা মাসুক মিয়ার অনুরোধ, সুষ্ঠভাবে যেনো্ এই মামলার তদন্ত কাজ সমাপ্ত করা হয়। যেনো আইনের ফাঁক গলে আসামী বেরিয়ে আসতে না পারে। এদিকে, সিলেটের জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন জানিয়েছেন, চাঞ্চল্যকর এই মামলাটির বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে এই মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটি। মামলার অভিযোগপত্র দেওয়ার পর এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা স্থানান্তরের প্রক্রিয়া সম্পর্কে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি কিশোর কুমার কর বলেন, অভিযোগপত্র প্রদানের পর মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের প্রস্তাব দিয়ে জেলা প্রশাসক সেটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করবেন। সেখান থেকে গেজেট প্রকাশের পরই মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আসবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এই মামলার কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার আশা প্রকাশ করেন সরকারী এই আইনজীবী।