• ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সিলেটে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্মিত হচ্ছে ৬২টি বীর নিবাস

sylhetsurma.com
প্রকাশিত নভেম্বর ৬, ২০১৬

সিলেট সুরমা ডেস্ক
সিলেটে নির্মিত হচ্ছে ৬২টি ‘বীর নিবাস’। ‘ভূমিহীন ও অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বাসস্থান নির্মাণ প্রকল্পে’র আওতায় এ সব বীর নিবাস নির্মিত হচ্ছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
সূত্র মতে, সিলেট জেলায় ৭০টি বাসস্থান নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে এ পর্যন্ত ৬২টি বাসস্থান নির্মাণের অনুমোদন পাওয়া গেছে। অবশ্য, এরই মধ্যে ৩০টি বাসস্থান নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ৩১টি বাসস্থান নির্মাণ কাজ চলছে। অন্য একটির পুন:দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
প্রতিটি বাসস্থানে থাকছে- দুটি শয়ন কক্ষ, একটি বসার কক্ষ, একটি রান্না ঘর এবং একটি বারান্দা। সব মিলিয়ে ফ্লোর এরিয়ার আয়তন ৫০০ বর্গফুট। এছাড়া, বাসস্থানের বাইরের দিকে রান্না ঘর সংলগ্ন একটি পাকা উঠান, টিউবওয়েল, টয়লেট, লাইভস্টক-শেড এবং পোল্ট্রি শেডেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এলজিইডি সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় সিলেট সদর ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় তিনটি, বালাগঞ্জ ও বিশ্বনাথ উপজেলায় দুটি করে, দক্ষিণ সুরমায় একটি, কোম্পানীগঞ্জে ৯টি, জৈন্তাপুরে ৮টি, গোয়াইনঘাটে ১১টি, কানাইঘাটে চারটি, জকিগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জে ৫টি করে এবং বিয়ানীবাজারে ৯টি ‘নিবাসে’র অনুমোদন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সিলেট সদর, বালাগঞ্জ, বিশ্বনাথ, দক্ষিণ সুরমা, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাটে সব কটি বীর নিবাসের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ডা: আব্দুন নূর জানান, সরকারিভাবে প্রতি ৬০ জন মুক্তিযোদ্ধা অনুপাতে একটি করে বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। এ হিসাবে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় মোট ৯টি ‘বীর নিবাস’ নির্মাণের অনুমোদন পাওয়া গেছে। আরো দুটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান তিনি।
কোম্পানীগঞ্জের চাটিবহর গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আজমান আলী জানান, তার থাকার জায়গা ছিল না। তার অবস্থা খারাপ দেখে সরকার তাকে এ ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে। এতে তিনি সন্তুষ্ট বলে মন্তব্য করেন। তিনি জানান, ৪ নং সেক্টরের সমশেরনগর এলাকায় তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
এলজিইডি সিলেট-এর নির্বাহী প্রকৌশলী স্বপন কান্তি পাল জানান, প্রতিটি নিবাসের প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয়েছে ৯ লাখ ২৫ হাজার ৫৬ টাকা। তিনি জানান, এটা ভূমিহীন ও অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার। প্রতিটি বাস গৃহের নাম ‘বীর নিবাস’ রাখা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কিছু করতে পারার আনন্দই আলাদা। তিনি জানান, ২০১৩ সালের জুলাই মাসে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের জুন মাসে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।