• ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ফের কমছে জ্বালানি তেলের দাম

sylhetsurma.com
প্রকাশিত নভেম্বর ১৫, ২০১৬

সিলেট সুরমা ডেস্ক
জ্বালানি তেলের দাম আরেক দফা কমানো হচ্ছে। সোমবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের বৈঠকে এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। দাম কমানোর এ সিদ্ধান্ত আগামী মাস থেকে কার্যকর হতে পারে বলে বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সর্বশেষ, গত ২৪ এপ্রিল জ্বালানি তেলের দাম কমিয়েছিল সরকার। সে সময় বলা হয়েছিল, জনজীবনে দাম কমানোর প্রভাব পরিলক্ষিত হলে আবারও দাম কমানো হবে। আগের সিদ্ধান্তটি কার্যকর করতে যাচ্ছে সরকার। তবে দাম কত কমানো হবে, সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, জ্বালানি বিভাগ থেকে দাম কমানোর বিষয়-সংক্রান্ত প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে দীর্ঘ সময় জ্বালানি তেলের দাম নিম্নমুখী অবস্থানের পর এখন কিছুটা বাড়ছে। বিশ্ববাজারে গতকাল পর্যন্ত ব্যারেলপ্রতি অপরিশোধিত জালানি তেলের দাম ছিল প্রায় ৪৩ ডলার। চলতি বছরে প্রথম দিকে ছিল ৩০ ডলারের কাছাকাছি। দুই বছর আগে বিশ্ববাজারে এ পণ্যটির দাম ১৩০ ডলারের বেশি অতিক্রম করেছিল।মূলত তার পর থেকে টানা দেড় বছর দাম কমতে থাকে।
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কম থাকায় সরকারও স্বস্তিতে। কারণ, এতদিন এ খাতে প্রতিবছর যে ভর্তুকি দিতে হতো, তা এখন লাগছে না।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে জ্বালানি তেল আমদানিতে কোনো ভর্তুকি রাখা হয়নি। তবে তেল আমদানিকারক সরকারি সংস্থা বিপিসি বলেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। ফলে এ মুহূর্তে দাম কমানোর বিষয়টি নিয়ে সরকারের আরও গভীরভাবে ভাবা উচিত।
ভর্তুকি না থাকলেও বর্তমানে জ্বালানি তেল আমদানিতে লাভ করছে বিপিসি। এক লিটার তেল বিক্রি করে বিপিসি গড়ে ১৫ থেকে ২০ টাকা লাভ করছে। বর্তমানে দেশে বছরে ৫৫ লাখ টন বিভিন্ন ধরনের তেল প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে বিপিসি প্রতি লিটার অকটেন ৮৯ টাকায়, পেট্রোল ৮৬ টাকায়, কেরোসিন ও ডিজেল ৬৫ টাকায় বিক্রি করছে।