• ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

শ্রীমঙ্গল উত্তাল , বন্ধ যান চলাচল

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ৬, ২০১৭

সিলেট সুরমা ডেস্ক ::::  পরিবহন শ্রমিকদের সাথে এক বিজিবি সদস্যের কথা কাটাকাটির জের ধরে সৃষ্ট সংঘর্ষে দোকানপাট ও যানবাহন ভাংচুরের ঘটনার প্রতিবাদে আজও উত্তাল শ্রীমঙ্গল। দোকানপাট, যানবাহন বন্ধ রেখে চলছে বিক্ষোভ, শ্লোগান। শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতি ও শ্রীমঙ্গলের পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের ডাকা এই ধর্মঘটে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে শ্রীমঙ্গলের জনজীবন।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) রাত ১০ টার দিকে উপজেলার সকল দোকানপাট বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতি। ঘোষণা অনুযায়ী গতরাত থেকে এখনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিকে, একই ঘটনায় শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে পরবহন ধর্মঘট পালন করছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। শ্রমিকদের সড়ক অবরোধের ফলে বন্ধ রয়েছে দুরপাল্লারসহ সব ধরণের যান চলাচল। এতে বন্ধ হয়ে গেছে সিলেট-ঢাকা, মৌলভীবাজার-ঢাকা, মৌলভীবাজার-হবিগঞ্জ সহ অন্যান্য সড়কে যান চলাচল। বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রী ও ছুটি কাটাতে শ্রীমঙ্গলে ঘুরতে আসা পর্যটকরা।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক তোফাইয়েল ইসলাম জানান, গতকালের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে ফারুখ আহমদকে প্রধান করে ৪ সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শ্রীমঙ্গল থানার ওসি।
এদিকে শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন, গতকালের বিজিবির হামলার ঘটনার প্রতিবাদে তারা শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজেদের একটি সমাবেশ আহ্বান করেছেন। উপজেলার চৌমোহনা চত্বরে অনুষ্ঠিতব্য এই সমাবেশ থেকে পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে।
মৌলভীবাজার পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সঞ্জিত কুমার দেব ও শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শেখ লুৎফুর রহমান ধর্মঘট পালনের বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলার পানসী রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে আসেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর একজন কর্মকর্তা। এসময় কথাকাটাকাটির জের ধরে স্থানীয় এক পরিবহন শ্রমিক ওই কর্মকর্তাকে মারধর করেন। এতে ওই কর্মকর্তা আহত হন। এ খবর বিজিবি ৯ সেক্টরের সদরদপ্তরে পৌছালে বর্ডার গার্ড সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় ব্যবসায়ী, পরিবহন শ্রমিক ও সাধারণ মানুষদের মারধর করেন। বিজিবি সদস্যরা নির্বিচারে দোকানপাট ও গাড়ি ভাংচুর করে বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এসময় শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা বিজিবি সদস্যদের পাল্টা হামলা করলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
সংঘর্ষের সময় বিজিবি গুলি ছুঁড়ে বলেও জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এতে ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানান তারা। সংঘর্ষের সময় শতাধিক দোকানপাট ও শতাধিক গাড়ি ভাংচুর করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বিজিবি এই ভাংচুর চালিয়েছে।