• ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বিএমএ নেতা ডা. দুলাল ও ডা. মোর্শেদকে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সংবর্ধনা প্রদান

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৭

ডা. দুলাল ও ডা. মোর্শেদ গোটা সিলেট বিভাগের গৌরব: শফিক চৌধুরী
 সিলেট সুরমা ডেস্ক ::: পেশাজীবী সংগঠনের নেতা হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে সিলেট থেকে নেতৃত্ব দেওয়ায় বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) এর কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল ও সহ-সভাপতি ও ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরীকে সংবর্ধনা দিয়েছে সিলেট জেলা প্রেসক্লাব।

শনিবার রাতে নগরীর জিন্দাবাজারস্থ হোটেল গোল্ডেন সিটির কনফারেন্স রুমে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন- ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল ও ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী গোটা সিলেট বিভাগের গৌরব। তারা জাতীয় পর্যায়ের নেতা নির্বাচিত হওয়ায় সিলেটবাসীর মুখ উজ্জ্বল করেছেন। এজন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন শফিক চৌধুরী। তিনি বলেন- বর্তমান সরকারের আমলের সারাদেশে ২৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক সেবা প্রদান করছে। যা একটি টার্নিং পয়েন্ট। দেশের স্বাস্থ্যসেবা বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে।

সভায় সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) এর কেন্দ্রীয় কমিটির নবনির্বাচিত মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল ও সহ-সভাপতি ও ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী।

ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল সংবর্ধনা জবাবে বলেন- ‘সংবর্ধনা বিষয়টি জানাতে যখন আমি ফোন পাই। তখন অবাক হয়ে যাই। আমার ৫৯ বছরের জীবনে কখনো সাংবাদিক সমাজ আমাকে সংবর্ধনা দেয়নি। সিলেট জেলা প্রেসক্লাব আমাকে সংবর্ধনা দিয়ে চিরঋণী করে ফেলেছে। তিনি বলেন- ‘আমাদের নেতৃত্ব পাওয়ার গৌরব শুধু আমাদের নয়। এটা সিলেট বিভাগের প্রতিটি মানুষের। আমি জেলা প্রেসক্লাবের সকল নেতা ও সদস্যদের আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে, দেশের ৮০ হাজার চিকিৎসক পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আপনাদের এমন মূল্যায়ন আমার, আমাদের কাছে সারাজীবনের জন্য পাথেয় হয়ে থাকবে।

ডা. দুলাল আরোও বলেন- ‘আপনারা সাংবাদিকরা আমাদের বন্ধু। আপনারা যেকোন প্রয়োজনে আমাদের পাশে পাবেন। বিশেষ করে দেশের মুক্তিযুদ্ধ আর স্বাধীনতা সংশ্লিষ্ট যেকোন আন্দোলন সংগ্রামে আমাদেরকে রাজপথে মিছিলে স্লোগানে পাবেন।’

বিএমএ মহাসচিব ডা. দুলাল তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি সিলেটবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্থ করে বলেন- ‘যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সৎ ও সততা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে থেকে তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো। আমি সকল ভোটার চিকিৎসক, দেশের ১৬ কোটি মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি যাদের ট্যাক্সের টাকায় আমি দুলাল ডাক্তার হয়েছি। এই অর্জন ১৬ কোটি মানুষের। প্রতিটি সিলেটবাসীর।’

ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী সংবর্ধনার জবাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তার বক্তৃতায় বলেন- ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ধরে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা পুরোটাই পাল্টে গেছে। চিকিৎসার জন্য দেশের মানুষকে এখন আর বিদেশে যেতে হয়না। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজকে খুব দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তীর্ণ করা হবে। কাজ এগুচ্ছে। দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক সমস্যা রয়েছে। সেগুলো চিহ্নিত করে একে একে সমাধান করা হবে। সরকারী হাসপাতালগুলোর চিকিৎসা সেবার মান খুবই ভাল। জনসাধারণকে সরকারী হাসপাতালে সেবা নেওয়ার ব্যাপারে তাগিদ দেওয়া প্রয়োজন। ডাক্তারদের অনেক ভুলত্রুটি আছে। শুধু ভুল না দেখে ভাল দিক দেখেও প্রশংসার প্রয়োজন রয়েছে। এতে চিকিৎসকরা উৎসাহিত হন। দেখেন খাদিজা বিষয়টি। ওর প্রথম চিকিৎসা কিন্তু সিলেটের ডাক্তাররাই করেছেন। ইমার্জেন্সীতে ভাল সেবা দেওয়া হয়েছে বলে টার্মিনাল টাইমে ওর চিকিৎসা কাজ সহজ হয়েছে।

ডা. মোর্শেদ বলেন- আমাদের এই অর্জনের সাথে সাংবাদিকদের লেখনীও জড়িত রয়েছে। তাদের বলিষ্ঠ লেখনী আর রিপোর্টের মাধ্যমে আমরা সঠিকভাবে পথ চলতে পেরেছি।

সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজ আহমদ সেলিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহ্ দিদার আলম নবেলের পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জাসদ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি লোকমান আহমদ, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. লালা, বাফুফের সদস্য ও সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দৈনিক উত্তরপূর্বের বার্তা সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক তাপস দাস পুরকায়স্থ, সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা আজাদুর রহমান আজাদ, টেলিভিশন সাংবাদিক ইউনিয়ন সিলেটের সভাপতি কামকামুর রাজ্জাক রুনু।

সভার শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন  প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনির। এর আগে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন প্রেসক্লাব সদস্য আবুল মোহাম্মদ ও গীতা পাঠ করেন নিবার্হী কমিটির সদস্য রজত কান্তি চক্রবর্তী।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি মঈন উদ্দিন, সহ সাধারণ সম্পাদক এস সুটন সিংহ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ রাসেল, পাঠাগার সম্পাদক আবদুল কাইয়ূম, দপ্তর সম্পাদক মিসবাহ উদ্দীন আহমদ, নির্বাহী সদস্য ইমরান আহমদ।

এছাড়াও সাংবাদিক ও প্রেসক্লাব সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সংগ্রাম সিংহ, সিলেট বিভাগীয় ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ইকবাল মনসুর, মুকিত রহমানী, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের  সহ-সভাপতি নাজমুল কবীর পাভেল, দৈনিক শ্যামল সিলেটের বার্তা সম্পাদক আবুল মোহাম্মদ, দৈনিক সিলেট সুরমার নির্বাহী সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রোকন, মামুন হাসান, শাব্বীর আহমদ ফয়েজ, সাঈদ চৌধুরী টিপু, দেবাশীষ দেবু, সিলেট বিভাগীয় ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এএইচ আরিফ, হাবীবুর রহমান হাবীব, ইমজা’র ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, নাসির উদ্দিন, সোহাগ আহমদ, এস এম সুজন, রায়হান উদ্দিন নয়ন, মোস্তাফিজুর রহমান রুমান, অমিতা সিনহা, সজল ঘোষ, মনোয়ার হোসেন লিটন, মাইস্লাম রাজেশ, শংকর দাস, কাইয়ুম আল রনি, নুরুল ইসলাম, সুব্রত দাস, মঞ্জুর হোসেন খান, আলী আকবর চৌধুরী রায়হান উদ্দিন, রনজিৎ কুমার সিংহ, ওলিউর রহমান, বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি সিলেটের নির্বাহী সদস্য রফিকুল ইসলাম কামাল, এম আর টুনু তালুকদার, আনোয়ার হোসেন, মোখলেছুর রহমান চৌধুরী, ছয়ফুল আলম অপু, দিব্য জ্যোতি সী।