• ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সুরঞ্জিতকে শ্রদ্ধা জানানো হবে

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার
সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সদ্য প্রয়াত আওয়ামী  লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ান শ্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সেন গুপ্তের মরদেহ সোমবার সকালে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে। সেখানে সকাল ১০টা থেকে সামাজিক-রাজনীতিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ সর্বস্তরের মানুষ তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আজ সোমবার সকাল ৯ টায় হেলিকপ্টারে করে মরদেহ সিলেট নিয়ে আসা হবে। পরে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সকাল ১০ টায় শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য শহীদ মিনারে রাখা হবে। সেখান থেকে সাড়ে ১১ টার দিকে নেয়া হবে সুনামগঞ্জে।
এদিকে; জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সকাল সাড়ে ৯টা আগে শহীদ মিনার এলাকায় উপস্থিত হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন নেতবৃন্দ। এছাড়া শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় নেতাকর্মীদের হালের জনপ্রিয় ট্রেন্ট ‘সেলফি’ উঠানো থেকেও বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
গত শুক্রবার ফুসফুসের সমস্যার জন্য রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে। গত শনিবার রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় তাঁকে প্রথমে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়। পরে রাতেই তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।  রোববার ভোর রাত ৪টার পরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গেছে, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জন্ম ১৯৪৬ সালে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার আনোয়ারপুর গ্রামে। ছাত্র জীবনেই তিনি বামপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। হাওরাঞ্চলের ‘জাল যার জলা তার’ আন্দোলনে দীর্ঘদিন তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি সুনামগঞ্জ-২ আসন থেকে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মোট ৭ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে সত্তরের নির্বাচনেও তিনি প্রদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। প্রবীণ এ পার্লামেন্টারিয়ান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। পরে এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করে আইন পেশায় নিযুক্ত হন। নব্বই দশকে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এর আগে তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ও একতা পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রেলমন্ত্রী নিযুক্ত হন। যদিও সহকারীর অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনার পর তিনি পদত্যাগ করেন। তবে প্রধানমন্ত্রী সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করে তাঁকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিপরিষদে রাখেন। এর আগে ১৯৯৬ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সংসদে সব সময় সরব এ সংসদ সদস্য একজন অভিজ্ঞ সংবিধান বিশেষজ্ঞ হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন।