• ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৭

 সিলেট সুরমা ডেস্ক : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  ১৭ ফেব্রুয়ারি এখানে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ বিষয়ক আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও নীতি নির্ধারকদের মতবিনিময়ের জন্য বিশ্বের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এই স্বতন্ত্র ফোরামের তিন দিনব্যাপী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন আজ বায়েরিচার হোফ হোটেলে শুরু হয়েছে।
সম্মেলনে বিশ্বের ২৫টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, ৪৭টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ৩০টি দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী, জাতিসংঘ মহাসচিব এবং ৯০ জন সংসদ সদস্যসহ প্রায় ৫শ’ নীতিনির্ধারক অংশ নিচ্ছেন।
কর্মকর্তারা জানান, এ বছর সম্মেলনে আলোচ্যসূচির মধ্যে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ এবং ইউরোপীয় রাষ্ট্রসমুহের মধ্যে সম্পর্ক, ট্রাম্প, ব্রেক্সিট, ইইউ ও ন্যাটো সংকট।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেন। তিনি সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মান চ্যান্সেলর এ্যাঞ্জেলা মার্কেলের আমন্ত্রণে আজ সকালে এখানে এসে পৌঁছেন।
জার্মান ও মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী যথাক্রমে উরসুলা ভন দের লায়েন এবং জ্যামস এন মাত্তিস’র উদ্বোধনী বক্তব্য দেয়ার পর সম্মেলনের চেয়ারম্যান অ্যাম্বাসেডর ওলফ গ্যাঙ্গ ছিঙ্গার সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
জার্মান চ্যান্সেলর, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট, জাতিসংঘ মহাসচিব, পোল্যান্ড ও আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এবং রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগদান করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল উচ্চপর্যায়ের এক আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন, পানি, খাদ্য ও অভিবাসনসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ের ওপর ভাষণ দিবেন।
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সম্মেলনে আগত অতিথিদের সম্মানে মিউনিখ নগরীর মেয়রের দেয়া এক সংবর্ধনায় অংশ নেবেন।
প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল জার্মান চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মার্কেলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এ সময় দু’নেতা দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন।
সম্মেলনের ফাঁকে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি বিখ্যাত আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোর সঙ্গে শতাধিক দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক বৈঠকও অনুষ্ঠিত হবে।