• ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

শাবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু

sylhetsurma.com
প্রকাশিত মে ১৮, ২০১৭

সিলেট সুরমা ডেস্ক :: নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর ফেঞ্চুগঞ্জে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) শিক্ষার্থী মোস্তাইন রাজ্জাক মামুনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।  বুধবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়নের কায়স্থগ্রাম এলাকার রেললাইনের পাশ থেকে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মোস্তাইন রাজ্জাক মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন। সে শাবির ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। নিহত মোস্তাইন রাজ্জাক মামুন নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনী বিভাগের চিকিৎসক আবদুর রাজ্জাক ও ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একই বিভাগের চিকিৎসক হোসনে আরার পুত্র।
বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার মাথায় এবং পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তব্যরত চিকিৎসক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জাহাঙ্গির আলম। তিনি জানান, ধারণা করা হচ্ছে চলন্ত ট্রেন থেকে ছিনতাইকারীরা মামুনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মামুনের খালাতো ভাই আদনান জানান, গত মঙ্গলবার সকালে নগরীর রিকাবীবাজার পুরাতন মেডিকেল কলোনির বাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা বলে বের হওয়ার পর তার কোন খোঁজ মিলেনি। সন্ধ্যা থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ ছিল।
ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি নাজমুল হক জানান,  বুধবার সকালে রেল লাইনের পাশে আহতাবস্থায় মামুরকে পাওয়া যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। ধারণা করা হচ্ছে সকালে সিলেট থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে পড়ে তার মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, যে সিএনজি অটোরিকশা করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সে ড্রাইভার ও উদ্ধারকারী কারও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জহির উদ্দিন আহমদ জানান, মামুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়মিত ছাত্র ছিলো। নিখোঁজদের তালিকায় তার নামও রয়েছে।
এ বিষয়ে সিলেটের সহকারি পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা জানান, পুলিশের ধারনা ভোরে সিলেট থেকে ছেড়ে যাওয়া কালনী এক্সপ্রেস থেকে পড়ে গিয়ে এ অবস্থা হতে পারে। তার কাছ থেকে গতকাল ও আজকের দুটি ট্রেনের টিকেট পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা মামুনকে উদ্ধার করে ওসমানীতে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।