• ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ৯ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

জেলা বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জুন ১৪, ২০১৭

সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন- শোষণমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। বৃহত্তর সিলেটে শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে গঠিত জেড ফোর্সের একজন সক্রিয় সৈনিক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে শামিল হয়েছিলাম। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সিলেটের মাটিতে আমার রক্ত ঝরেছে। তাই সিলেটবাসীতে আত্মার আত্মীয় মনে করি। শহীদ জিয়ার সাথে একাত্তরের দুর্বিষহ দিনগুলো এখানেই কাটিয়েছি। বিএনপি হচ্ছে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের দল। বিএনপিতে সবচেয়ে বেশী মুক্তিযুদ্ধা রয়েছে। কিন্তু আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করছে। তারাই দেশে প্রথম ভোট ডাকাতি শুরু করেছিল। আজো তারা ভোটারবিহীন নির্বাচনে ক্ষমতায় ঠিকে থেকে গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছে। দেশে ভোট ডাকাতি, দুর্নীতি, খুন, গুম, ধর্ষণ মহামারি আকার ধারণ করেছে। ইফতার মাহফিলের মতো ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সরকার বাধা দিচ্ছে। এ থেকে জাতিকে মুক্ত করতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলাম। স্বাধীনতার সুফল জাতির ঘরে পৌছাতে হলে তরুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি মঙ্গলবার সিলেট জেলা বিএনপি আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট জেলা সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম-এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদ আলী আহমদের পরিচালনায় উক্ত মাহফিলটি নগরীর সোবহানীঘাটস্থ আগ্রা কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। ইফতার ও দোয়া মাহফিলে সাংবাদিক, আইনজীবী, পেশাজীবী, চিকিৎসক, শিক্ষক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ২ হাজারের অধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেজর (অব.) হাফিজ আরো বলেন- দেশে খুন, গুম, ধর্ষণ ও দুর্নীতি মহামারি আকার ধারণ করেছে। ক্ষমতাসীনদের জুলুম-নিপীড়ন, বর্বরতা নির্মমতা পাক হানাদার বাহিনীকেও হার মানাচ্ছে। দেশে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। সর্বত্র চলছে অরাজকতা আর লুটপাট। এদেশের মানুষ ভোট ডাকাতি জানতো না। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে গণতন্ত্র হত্যা করে একদলীয় বাকশালী শাসন কায়েম করে আওয়ামীলীগই প্রথম ভোট ডাকাতি শুরু করেছিল। তাদের উত্তরসূরীরা আজ মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে। সিলেটের কোটি জনতার হৃদয়ের স্পন্দন জননেতা এম ইলিয়াস আলী ছাড়াও সিলেটের ছাত্রদল নেতা ইফতেখার আহমদ দিনার, জুনেদ, আনসার আলী সহ দেশব্যাপী শতশত নেতাকর্মীদের গুম করে রাখা হয়েছে। অবিলম্বে গুমকৃত সকল নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে দিতে হবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের ভোটাধিকার ফিরে পেতে বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ডাকে যে আন্দোলন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
জেলা বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা সাদিকুর রহমানের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সুচীত মাহফিলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর রুহের মাগফেরাত, বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা, নিখোঁজ জননেতা এম ইলিয়াস আলী, ছাত্রদল নেতা ইফতেখার আহমদ দিনার, জুনেদ আহমদ ও গাড়ী চালক আনসার আলী সহ গুম হওয়া সকল নেতাকর্মীদের সন্ধান কামনা, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ অবধি সিলেট বিএনপির মৃত্যুবরণকারী সকল নেতাকর্মীদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং দেশ জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মৌবন জামে মসজিদের সহকারী ইমাম হাফিজ মাওলানা হাসান আহমদ।
বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিম ও সাবেক এমপি কলিম উদ্দীন আহমদ মিলন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা: শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক এডভোকেট নুরুল হক, মহানগর সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, জেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক এমপি আবুল কাহির চৌধুরী, জেলা সহ-সভাপতি এডভোকেট আব্দুল গাফফার প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি