নিউজ ডেস্ক: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১২ লাখ টাকার স্বর্ণসহ মালয়েশিয়া থেকে আসা যাত্রী মুহাম্মদ মিজান আহম্মদকে (৪০) গ্রেফতার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা।
শুক্রবার (০৩ নভেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।
তিনি জানান- শুক্রবার সকালে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে আসা কুমিল্লার মুহাম্মদ মিজান আহম্মদের শরীর থেকে দু’টি স্বর্ণবার উদ্ধার করা হয়। স্বর্ণগুলো তিনি রেক্টামে বহন করছিলেন। শুল্ক গোয়েন্দার কাছে গোপন তথ্য থাকায় ওই যাত্রীর উপর বিশেষ নজরদারি রাখা হয়। এরপর শাহজালালে অবতরণের পর কাস্টমস এবং ইমিগ্রেশন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে গ্রিন চ্যানেল পেরিয়ে যাওয়ার সময় তাকে (মুহাম্মদ মিজান) চ্যালেঞ্জ করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। কিন্তু তিনি স্বর্ণ থাকার কথা অস্বীকার করেন।
মইনুল খান আরও বলেন, ওই যাত্রীর অস্বাভাবিক চলাফেরায় সন্দেহ বেড়ে যায়। পরে তাকে শুল্ক গোয়েন্দার অফিস কক্ষে এনে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু তিনি বার বার স্বর্ণ থাকার কথা অস্বীকার করেন। পরে আর্চওয়ে মেশিনে ওই যাত্রীকে হাঁটিয়ে গোয়েন্দারা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হন তার কাছে স্বর্ণ আছে। এরপর যাত্রীকে উত্তরার জাহানারা ক্লিনিকে এনে এক্সরে করানো হয়। রিপোর্টে যাত্রীর তলপেটে স্বর্ণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এরপর শাহজালাল বিমানবন্দরে এনে যাত্রী টয়লেটের ভেতরে বিশেষ কায়দায় পায়ুপথ দিয়ে দু’টি স্বর্ণবার বের করে আনেন এবং পরে তার হাতব্যাগ থেকে আরও চারটি স্বর্ণের রিং পাওয়া যায়।
শুল্ক গোয়েন্দার জিজ্ঞাসাবাদে যাত্রী মুহাম্মদ মিজান আরও জানান- এসব স্বর্ণ আকাশপথে টয়লেটের ভেতরে গিয়ে নিজেই পুশ করেন। আর পাসপোর্ট পরীক্ষায় দেখা যায়, চলতি বছরে তিনি চারবার কুয়ালালামপুর ভ্রমণ করেছেন। তবে প্রতিবার স্বর্ণ বহন করেছিলেন কিনা তা জানার চেষ্টা চলছে। আটক দু’টি স্বর্ণবারের প্রতিটির ওজন ১০০ গ্রাম।
এছাড়া ৪টি স্বর্ণের রিংয়ের ওজন ৫৮ গ্রাম। মোট স্বর্ণের পরিমাণ ২৫৮ গ্রাম। মুহাম্মদ মিজানের কাছ থেকে আটক স্বর্ণের মূল্য প্রায় ১২ লাখ টাকা।
তাকে চোরাচালানের দায়ে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে এবং অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।