• ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

শিবগঞ্জের খলিল হত্যা মামলার আসামীরা কর্তৃক প্রবাসীর ভু-সম্পত্তি আত্মসাতের পায়তারা

sylhetsurma.com
প্রকাশিত নভেম্বর ১৮, ২০১৭

সিলেট সুরমা ডেস্ক : সিলেট নগরীতে মূল্যবান ৩.৪০ শতক ভূমি অবৈধভাবে গ্রাস করার পায়তারা করছে বহুল আলোচিত শিবগঞ্জের খলিল হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী ও একটি ভূমিখেঁকো চক্র। এ বিষয়ে ভূমি মালিক এম. হারুন রশীদ শাহপরাণ (রহ.) থানায় ৫জনের নাম উল্লেখপূর্বক গত ১৫/১১/২০১৭ ইংরেজী তারিখে একটি জিডি এন্ট্রি (নং- ৭৭৪ এবং ১৬/১১/২০১৭ ইংরেজী তারিখে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবরে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের নিমিত্তে পৃথক আরেকটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযুক্তরা হচ্ছে- শাকিল, জামিল, সিদ্দেক আলী উরফে দারা মিয়া, রাফছান। তারা সকলেই শিবগঞ্জ ঠাকুরপাড়ার বাসিন্দা।
অভিযোগে জানা যায়, সিলেট নগরীর শিবগঞ্জ ঠাকুরপাড়া আবাসিক এলাকার ফুরকান ভবনের অধিবাসী এম. হারুন রশীদ লন্ডন প্রবাসী হওয়ায় উক্ত ভূমির শরিকান তার পিতা-মাতার ত্যাজ্যবিত্তে প্রাপ্ত সম্পত্তিসহ কবরস্থানের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি জবর দখল করে নেয়। লন্ডন প্রবাসী এম. হারুন রশীদ দেশে এসে বিষয়টি জানতে পারেন এবং একাধিকবার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার স্মরণাপন্ন হলেও প্রভাবশালী ভূমিখেঁকো চক্রের কবল থেকে তার মূল্যবান সম্পদটুকু আজ অবধি উদ্ধার করতে পারেননি। নিরূপায় হয়ে লন্ডন প্রবাসী এম. হারুন রশীদ বিগত ২০১৫ ইংরেজী সনে মাননীয় যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতে স্বত্ত্ব (বাটোয়ারা) মোকদ্দমা (নং- ২৫৩/২০১৫ ইং) দায়ের করলে তা বর্তমানে বিচারাধীন আছে। স্বত্ত্ব মামলার আরজিতে প্রবাসী এম. হারুন রশীদ মহামূল্যবান এই সম্পত্তি বিক্রয় কিংবা নালিশা ভূমির কোনরূপ আকৃতি-প্রকৃতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন যাতে করতে না তদমর্মে প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করলেও ভূমিখেঁকো চক্র নালিশা ভূমির কতেকাংশে বিভিন্ন ধরণের মিথ্যা সাইনবোর্ড বসিয়ে তথায় স্থাপনা নির্মাণ করছে বলে ভূক্তভোগী তার আবেদনে উল্লেখ করেন। ভূমি মালিক এম. হারুন রশীদ ভূমিখেঁকো চক্রকে তার মহামূল্যবান ভূমিতে কোনরূপ স্থাপনা নির্মাণ না করার কথা বললে তারা আরও মারমুখী হয়ে উঠে এবং তাকে প্রাণে মারারও হুমকি দিচ্ছে অবিরত।
ভূক্তভোগী এম. হারুন রশীদ তার আবেদনে আরও উল্লেখ করেন যে, ১৯৯৬ ইংরেজী সনে সিলেট শহরের শিবগঞ্জে খলিল হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী শাকিল মহামান্য হাইকোর্টের আদেশে জামিন নিয়ে এরূপ অপকর্ম করে যাচ্ছে। তার অপর ভাই আদিল যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী হয়ে আত্মগোপনে আছে। তাছাড়া তার অপরাপর সহযোগিরাও খলিল হত্যা মামলার চার্জশীটভূক্ত আসামী। এ ব্যাপারে শাকিলসহ অন্যান্যদের বক্তব্যে নিতে চাইলে তাদের পাওয়া যায়নি।