• ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ৯ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

বিএনপির নেতার ইন্ধনে ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১০, ২০১৭

সিলেট সুরমা ডেস্ক : বিএনপির এক নেতার ইন্ধনে বিজয়ের মাসে কতিপয় পরিবহন নেতা পরিবহন ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছিলেন । বিএনপির ওই নেতার খাস লোক হিসাবে পরিচিত জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিকও হাত মিলিয়ে ধর্মঘটের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। যদিও নিজকের মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে পরিচয় দিয়ে, সুবিধা নেন বিভিন্ন জায়গায় তিনি।

কিন্তু বিজয়ের মাসে পরিবহন ধর্মঘট ডাক দিতে একটি বারও চিন্তা করেননি তিনি। সেকারনে তার গৌরবের মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নিয়ে বির্তক উঠে নানা মহলে। এক তো বিজয়ের মাসকে গুরুত্ব না দিয়ে, তারা মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বিরোধীদের দোসর হিসাবে চিন্থিত হয়েছেন, অপরদিকে পরিবহন নীতিমালা লঙ্গন করে পরিবহন ধর্মঘটকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহারে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তারা।

অথচ শ্রমিক বিধি অনুসারে, কোন ইস্যুতে বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করে পরিবহন ধর্মঘট ডাকার সুযোগ নেই। কিন্তু অতীতের ন্যায় এবারও একান্ত ব্যক্তি স্বার্থে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়ে, প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্টদের হুমকি দেওয়ার স্পর্ধা দেখান তারা। এমনকি সরকার দল আ্ওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও শ্রমিকলীগ নিয়ে বেপরোয়া বক্তব্য দেন ওই বির্তকিত শ্রমিক ও পরিবহন নেতারা।

তাদের এহেন লাগামহীন বক্তব্যের সীমারেখা ছাড়ায় তাদের ব্যক্তিস্বার্থে ৬ দফা দাবীর নামে অনির্দিষ্ট পরিবহন ধর্মঘটের হুমকি দিয়ে। এ দফা ঘোষনা করার পর, তারা বলাবলি করতে থাকে, যুবলীগ ও শ্রমিকলীগকে সাইজ করেছে, এবার প্রশাসনকে চাপে রেখে, সকল দাবী পূরন করে নেবে তারা। কিন্তু তাদের এহেন ষড়যন্ত্র পূর্বেই আচ করে নেয় প্রশাসনের নীতিবান ও সাহসী কর্মকর্তারা।

যেকারনে প্রশাসনের দৃড়তায়, কথিত পরিবহন ধর্মঘট নাটকের মিশন ব্যর্থ হয়ে যায়, বিএনপি নেতা কালাম-ফলিকের। তাদের ইন্ধন ও প্রত্যক্ষ – পরোক্ষ মদদে পরিবহন ধর্মঘটের মাধ্যমে একক আধিপত্য গড়তে চেয়েছিলেন সিলেটের পরিবহন সেক্টরে।

সারা দেশে পরিবহন খাত সরকার ও সরকার দলীয় পরিবহন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হলেও ভিন্ন চিত্র বিরাজ করছে সিলেটে ও এখানে সরকার দলের কতিপয় সুবিধাভোগী নেতাকে গোপনে শরিক করে বিএনপি ও জামাতের পরিবহন ব্যবসায়ীরা ছড়ি ঘুরাচ্ছে সিলেটে পরিবহন সেক্টরে। তারা কার্যত জিম্মি করে রেখেছে, এ পরিবহন খাত। যেনতেন বিষয় নিয়ে আ’লীগ সমর্থিত পরিবহন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের উপর হামলা মামলা ও নানামুখি নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে তারা। নির্যাতিতরা আইনী সহযোগীতা চাইতে গেলে পরিবহন ধর্মঘটের হুমকি দিয়ে, প্রশাসনকে দমিয়ে রাখতে চায় ওই নেতারা।

তাদের স্পর্ধা এতোই ভয়ানক ও নিয়ন্ত্রনহীন যে, এক ছাত্রলীগ নেতার উপর হামলার ঘটনায় এজহার নামীয় আসামী হ্ওয়ার পরও গতকাল প্রশাসনের সাথে বৈঠকে উপস্থিত থাকেন বিএনপি নেতা আবুল কালাম। এর মধ্যে দিয়ে কালাম প্রমান করতে চাইলেন, আইনের চোখে সবাই সমান নয়, সরকার ও প্রশাসন তাকে কিছু করতে পারবে না। তার প্রকাশ্যে উপস্থিতির ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, যুবলীগ-শ্রমিকলীগসহ সর্বস্তরের বাস মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে।

তারা মনে করছেন সেলিম আহমদ ফলিক মামলার আসামী নয়, কিন্তু কালাম তো আসামী। তার ও তার লোকের হাতে রক্তাক্ত সহ এখন পুঙ্গ ছাত্রলীগ নেতা শাহীনূর । সে ঘটনায় মামলা হয়েছে, কিন্তু পুলিশের চোখের সামনে কালাম ঘুরাফেরা করলেও প্রশাসন নিরব। বিষয়টি বিভিন্নভাবে নজরে দেয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষরে। এই অবস্থার মধ্যে দিয়ে প্রকাশ্যে উর্ধ্বতন প্রশাসনিক বৈঠকে স্ব-শরিরে বৈঠকে উপস্থিত থেকে কালাম দেখিয়ে দিলেন, তিনি যে কতটুকু বেপরোয়া।

তার বেপরোয়া গতিবিধির কারনে পরিবহন সেক্টরে সরকার দলীয় লোকজন কোনঠাসা। এই অবস্থার মধ্যে দিয়ে আরো সামগ্রিক কোনঠাসা করতে, কথিত এক ব্যানারের নামে ৬ দফা দাবী তুলে, পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেন তারা অনুসারী কতিপয় পরিবহন মালিক-শ্রমিক। কিন্তু তাদের নেপথ্যে মিশন অবগত হয়ে যায় প্রশাসন সহ আ’লীগের নেতারা।
মুলত পরিবহন খাতে অস্থিরতা সৃষ্টি করে তাদের ব্যক্তিস্বার্থের নামে বিএনপি জামাতের নিয়ন্ত্রনে পরিবহন সেক্টর রাখতে চেয়েছিলেন তারা। কিন্তু তা শেষ অবধি পেরে উঠতে পারেনি তারা। প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্টদের দৃড়তায় সেই মিশন ব্যর্থ হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্টদের হাতে এখন কালাম-ফলিকের কর্মতৎপরতার সকল আমলনামা। এর নিরীখেই নির্ধারন হবে আগামী দিনে তাদের ভাগ্যলিপি।-তথ্য সূত্র : ড্রীম সিলেট ডটকম