• ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জের খেজুর গুড়ের হাট জমে উঠেছে

প্রকাশিত জানুয়ারি ২৭, ২০১৮

সিলেট সুরমা ডেস্ক : চুয়াডাঙ্গার জেলার সরোজগঞ্জের খেজুর গুড়ের হাট জমে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসছে ব্যাপারীরা। সপ্তাহে দুই দিন এ হাট বসে। হাট থেকে প্রায় ২০-৩০ ট্রাক গুড় ব্যাপারীরা ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করেন। প্রায় দুই কোটি টাকার গুড় কেনাবেচা হয় হাটে।
ব্যাপারীরা বলেছেন, এখানকার গুড়ের মান অন্য জেলার চেয়ে অনেক ভাল। হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক ভালো থাকার ব্যাপারীরা হাটে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
গাছিরা জানান, গত বছরের তুলনায় গুড়ের দাম এবার একটু বেশি। তবে লাভও হচ্ছে বেশি। হাটে কাজ করে এলাকার অনেক মানুষ এখন স্বাবলম্বী হয়েছে। গুড়ের হাট ঘিরে মাটির হাড়ির (ভাড়ের) হাটও বসে।
চুয়াডাঙ্গার ৪টি উপজেলায় রয়েছে খেজুর গাছ। গাছিরা শীত মৌসুমে খেজুর গাছ থেকে রস তৈরি করেন। রস জ্বালিয়ে তারা গুড় তৈরি করেন। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে গাছি (কৃষকরা) প্রতি সোমবার ও শুক্রবার সরোজগঞ্জ হাটে গুড় বিক্রির জন্য নিয়ে আসে। মাটির হাড়ির (ভাঁড়ের) আকার ভেদে গুড় বিক্রি হয়। গুড় ৭০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকায় প্রতি মাটির হাড়ি বিক্রয় করেন গাছিরা। প্রতি কেজি গুড় বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকায়। ব্যাপারীরা গুড় ট্রাক বোঝাই করে দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে বিক্রি করেন।
গুড় রাখার জন্য পাত্র হিসাবে ব্যবহার করা হয় মাটির তৈরি হাড়ি (ভাড়)। কুমাররা হাটে নিয়ে বিক্রি করছেন মাটির হাড়ি। শীত মৌসুমে এ ব্যবসা তাদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
সিরাজগঞ্জ জেলার গুড়ের ব্যাপারী লিয়াকত আলি বলেন, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে সরোজগঞ্জ হাট থেকে গুড় কিনে নিয়ে যাই। এখানকার গুড়ের মান অনেক ভাল। হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভাল।
চুয়াডাঙ্গা ধুতুরহাট গ্রামের গাছি শফিকুল ইসলাম জানান, আমার ২৫০টি খেজুর গাছ আছে। দুই জন লোক গাছ কাটে ও রস তোলে। প্রতিদিন তিন হাড়ি গুড় হয় এসব রসে। এ হাটে দাম ভাল পাওয়া যায় বলে এখানে গুড় বিক্রি করি।
হাটের শ্রমিক লিয়াকত হোসেন জানান, আমরা ব্যাপারীদের গুড় টানার কাজ করি। প্রতি হাটে আয় হয় ৭০০-৮০০ টাকা মত। এ কাজ করে সংসার ভালই চলছে। ২৭ জানুয়ারি, ২০১৮ (বাসস)