• ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেলেন সৈয়দ মাহমুদ হোসেন

প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৮

সিলেট সুরমা ডেস্ক : বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শুক্রবার দুপুরে তার নিয়োগ আদেশে স্বাক্ষর করেছেন বলে জানিয়েছেন বঙ্গভবনের মুখপাত্র মো. জয়নাল আবেদীন।

সংবিধান অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং প্রধান বিচারপতির সহিত পরামর্শ করিয়া রাষ্ট্রপতি অন্যান্য বিচারককে নিয়োগদান করিবেন।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে পাস করা সৈয়দ মাহমুদ হোসেন জীবনের শুরুতে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হন।

২০০১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের শেষ বছরে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান মাহমুদ হোসেন।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে আসার দুই বছর পর ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি মাহমুদ হোসেন আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর তার অবসরে যাওয়ার সময় নির্ধারিত আছে।

মাহমুদ হোসেন এর আগেও আলোচনায় এসেছিলেন। বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠনে ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি সে সার্চ কমিটি গঠন করা হয় তার প্রধান ছিলেন তিনি। ২০১২ সালেও কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে গঠন করা নির্বাচন কমিশন বাছাইয়ের জন্য গঠন করা সার্চ কমিটিরও প্রধান ছিলেন তিনি।

মাহমুদ হোসেন আপিল বিভাগে জ্যেষ্ঠতার ক্রমে তিন নম্বরে থাকলেও তার মেয়াদ আছে আরও প্রায় তিন বছর। অন্য দিকে জ্যেষ্ঠতম ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিয়া অবসরে যাবেন আগামী ১০ নভেম্বর। ফলে তাকে নিয়োগ দিলে চলতি বছর আবার নতুন কাউকে বেছে নিতে হতো রাষ্ট্রপতিকে।

প্রধান বিচারপতির পদ থেকে সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা গত ১০ নভেম্বর পদত্যাগ করেছেন জানিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করতে পারেন কীনা- এনিয়ে মত-প্রতিমত থাকার কারণে রাষ্ট্রপতি ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি পদে কাউকে নিয়োগ দেন নি। নিয়ম অনুযায়ি ৩১ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। এদিকে, প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার ছুটি ও পদত্যাগের চিঠি দেওয়ার খবরের প্রেক্ষিতে গত ১ অক্টোবর থেকেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিয়া।

এর আগে একবার ১৩ দিন দেরিতে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়ার নজির আছে। সেটি হয়েছিল ১৯৯০ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতায় থাকাকালে। ১৯৯০ সালের ১ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরী অবসরে যান। এরপর ১৪ জানুয়ারি বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

সংবিধানে প্রধান বিচারপতির পদে স্থায়ীভাবে কেউ না থাকলে কতদিনের মধ্যে নিয়োগ দিতে হবে তার কোনো উল্লেখ নেই।