• ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বৃহস্পতিবারের মধ্যে কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন না হলে রোববার থেকে আন্দোলন

প্রকাশিত এপ্রিল ৯, ২০১৫
বৃহস্পতিবারের মধ্যে কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন না হলে রোববার থেকে আন্দোলন

সিলেট সুরমা ডেস্ক : বৃহস্পতিবারের (১০ মে) মধ্যে কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন না হলে আগামী রোববার (১৩ মে) থেকে প্রতিটি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন।বুধবার (০৯ মে) দুপুরে টিএসসিতে মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।এদিকে কোটা বাতিলে প্রজ্ঞাপনের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় বিক্ষোভ শেষে টিএসসি এলাকায় প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচি ঘোষণার মধ্য দিয়ে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মানববন্ধনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’, স্লোগান দিয়ে তারা টিএসসি এলাকার রাস্তা বন্ধ করে কর্মসূচি পালন করছেন।বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ, মহিলা কোটা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ৫ শতাংশ, ক্ষেত্র বিশেষে জেলা কোটা ১০ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী কোটা ১ শতাংশ।মঙ্গলবার (০৮ মে) বেলা ১১টায় মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘ছাত্র সমাজের সঙ্গে চক্রান্ত শুরু হয়েছে। আমরা বলে দিতে চাই ছাত্র সমাজ কোনও চক্রান্ত মেনে নিবে না। আপনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) অতি দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করে ছাত্র সমাজকে শান্ত করুন। তারা এখন ক্ষুব্ধ। নতুবা তারা আবার রাজপথে নেমে আসবে। আমাদের আন্দোলন সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও অহিংস। সামনে যে আন্দোলন চলবে সেটিও শান্তিপূর্ণ হবে। আমরা বঙ্গবন্ধুর অহিংস আন্দোলনের চেতনায় বিশ্বাসী’।গত সোমবার (০৭ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছিলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল বা সংস্কারের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি নেই।তার এ বক্তব্যের পর মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কর্মসূচি ঘোষণা করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা।গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন শিক্ষার্থীরা। এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন। আন্দোলনের এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে বসে আন্দোলনকারীরা ৭ মে পর্যন্ত সময় নিয়েছিলেন।কিন্তু কোটা বাতিল বা সংস্কারের সরকারি প্রজ্ঞাপন না হওয়ায় আবারো আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।