• ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বৌ ভাড়া তাও এক বছরের জন্যে ! কোথায় জানলে অবাক হবেন

sylhetsurma.com
প্রকাশিত নভেম্বর ২২, ২০১৮

সিলেট সুরমা ডেস্ক : আজকে তাহলে আপনারা চমকে যাওয়ার মতো একটা খবর শুনে ফেলুন। আমাদের দেশে দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে মহিলাদের ওপর নির্যাতন হয়তো এর বিরুদ্ধে অনেক কিছুই আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে কিন্তু তা সত্ত্বেও অপরাধের সংখ্যা কমার বদলে ক্রমশ বেড়েই চলেছে । যত সমাজে পরিবর্তন আসুক না কেন মহিলারা কিন্তু আজও পুরুষশাসিত সমাজে অত্যাচারিত হয়ে থাকে ।

তবে হ্যাঁ বর্তমানে মহিলাদের অনেক সম্মান প্রদান করা হয় । এবং বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক আইন ও তাদের জন্য তৈরি হচ্ছে । সময়ের সাথে সাথে আমাদের সমাজ পরিবর্তিত হলেও এখনো মেয়েদের বিক্রি করা কাজটি বাধায় বন্ধ হয়নি । আগেও আমরা হয়তো এই মেয়েদের কিনে নেওয়া বেচে দেওয়া এই কথাগুলোর সাথে পরিচিত ছিলাম । শুধু তাই নয় অর্থের অভাবে অনেক সময় তাদেরকে শরীর বিক্রি করার কাজে নিযুক্ত করা হয় ।

এই সমস্ত কথা গুলির সাথে খুবই সাধারণ ভাবে আমরা সকলেই পরিচিত। কিন্তু আজ একটা কথা শুনলে আপনারা হয়তো সবাই অবাক হয়ে যাবেন । এমন একটি অঞ্চলের কথা আপনারা হয়তো কোনোদিন শোনেনি যে এই অঞ্চলটিতে মহিলাদের এক বছরের জন্য ভাড়া দেওয়া হয় তাও আবার বউ হিসেবে । ভারতের মধ্য প্রদেশ রাজ্যে এই প্রথাটি প্রচলিত আছে ।

ভারতের রাজ্যের মধ্যে একটি অন্যতম বড় রাজ্য । মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে শিবপুরি এলাকায় একটি প্রথা প্রচলিত রয়েছে যে প্রথা টির নাম হল ধড়িচা । এই প্রথাতিরে অন্যতম একটি অবাক করা বৈশিষ্ট্য হলো এখানে মেয়েদেরকে এক বছরের জন্য অন্য কারোর বউ হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়ে থাকে ।

ছেলেদের যদি মেয়েটিকে বউ হিসেবে পছন্দ হয় তাহলে তারা দরদাম করে তাকে বউ সবে ভাড়া নিয়ে নেয় । ঈদের ভাড়া হিসেবে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা নির্ধারিত করা হয় ।

তবে এই প্রথাটি পরিবারের সবাই এবং মেয়ে উভয়ই স্ব-ইচ্ছায় এটি সম্পন্ন হয়ে থাকে । এই চুক্তি শুধু মাত্র এক বছরের জন্যই হয়ে থাকে যদি কোন ছেলে মেয়েকে খুব বেশি পছন্দ হয়ে যায় এবং সে যদি বউ হিসেবে তাকে এক বছর এর থেকে বেশি সময়ের জন্য ভাড়া নিতে চায় । তাহলে তাকে চুক্তির থেকে আরও বেশি টাকা প্রদান করতে হয় তবেই তাকে এক বছরের বেশি সময়ের জন্য ভাড়া নিতে পারে ।

এই ভাবেই বছরের পর বছর ধরে এই প্রথা প্রচলিত হয়ে আসছে । এইভাবেই তাদেরকে এক বছরের জন্য বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় এবং একটা স্ট্যাম্প পেপারে তাদের সই করানো হয় । কিন্তু রাজ্যে ঘটে চলা অদ্ভুত প্রথাটি বিরুদ্ধে কেউ কোনদিনও কোন প্রতিবাদ করেনি । তাই বর্তমানে একইরকমভাবে এই প্রথার প্রচলন আছে ।