• ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সমবয়সী কোনো মেয়েকে বিয়ে করলে যা হয় ! জেনে নিন

sylhetsurma.com
প্রকাশিত নভেম্বর ৩০, ২০১৮

সিলেট সুরমা ডেস্ক : একটু আগের সময় বিয়েতে স্বামী এবং স্ত্রী এর দ্বিগুন বয়স হওয়াটা একটা প্রথা ছিল বলা চলে। কিন্তু জানেন সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে অনেক নিয়মও পরিবর্তিত হচ্ছে । বর্তমান সময়ে দেখা যায় যে বেশিরভাগ বিয়েতেই স্বামী-স্ত্রীর বয়সের খুব অল্প ব্যবধান থাকছে । আবার কোন সময় সমবয়সী হয় স্বামী-স্ত্রী ।

আসলে বর্তমানে বিয়ের ধারনাটা একটু খানি পাল্টে গেছে । শুধুমাত্র সন্তান জন্মের জন্যই বর্তমানে বিয়ে হয় না বর্তমানে বিয়ে বলতে একে অপরের সাথে সুখ দুঃখ সফলতা বিফলতা সমস্ত কিছুই ভাগ করে নেবে । তাই জন্যই বর্তমানে সমবয়সী অর্থাৎ দুই বন্ধুর মধ্যে বিয়ের চল বেড়ে চলেছে ।

বর্তমানে একই সাথে পড়াশোনা করা কালীন বা একই সাথে চাকরি করাকালীন দুই বন্ধুর মধ্যে ভালোবাসা করে উঠতেই পারে এবং তাদের মধ্যে ভালোবাসা সম্পর্কটা পরবর্তীকালে বিয়েতে পরিণতি পায় অনেক সময় । যদি স্বামী স্ত্রী একই বয়সের হয়ে থাকে তাহলে তারা সমস্ত কিছু বন্ধুর মত শেয়ার করতে পারে অনেক সময় তাদের ভালোলাগা গুলো একই হয়ে যায় ।

ওই জন্যই তাদের সম্পর্কে মনোমালিন্য কম হয় । কিন্তু কোন কোন সময় আবার তাদের ভালোলাগা এক নয় হতে পারে তখনই শুরু হয়ে যায় তাদের সম্পর্কের মধ্যে সমস্যা আর এই সমস্যা থেকে তাদের দাম্পত্য জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয় ।

কোন সময় দেখা যায় যে একই সাথে পড়াশোনা করলেও মেয়েটি হয়তো ছেলেটির থেকে বয়সে বড় থাকে । আর এমনিতেই নারীদের মস্তিষ্ক বেশি পরিণত হয়ে থাকে । ফলে মেয়েটি ছেলেটির উপর কোন কারণবশত চাপ সৃষ্টি করতে পারে । হয়তো অজান্তেই মেয়েটি ছেলেটির উপর দিদি গিরি করে ফেলে । তখনই চলে আসে ইগো এবং শুরু হয়ে যায় ব্যক্তিত্বের অস্তিত্ব নিয়ে সমস্যা।

আবার অনেক সময় প্রথম দিকে দুজনের সম্পর্ক মধুর হলেও বিয়ের পর মেয়েটির যে নিজস্ব চিন্তাভাবনা সেটিকে ছেলেটি মেনে নিতে পারে না । মেয়েটির অধিক সচেতনতা তাদের দাম্পত্য জীবনকে জটিল করে তোলে । তখন তারা একে অপরকে সম্মান টুকুও দিয়ে উঠতে পারে না কারণ তাদের আবেগের কিছুই বেঁচে থাকে না এর ফলাফল বিচ্ছেদ অর্থাৎ ডিভোর্স পর্যন্ত হতে পারে।

আবার যখন একই সাথে সংসার করার পর দুজনের বয়স ৪০ বা ৪৫ বছরের এসে দাড়ায় । তখন মেয়েদের মধ্যে একটা টার্নিং পয়েন্ট কাজ করে কারণ সেই সময় তাদের কোন সন্তান ধারণের প্রশ্ন ওঠেনা । তখন তারা মোটামুটিভাবে মুক্ত অনেকটা সংসার অতিবাহিত করার পরে তারা একটু রিলিফ পায় এই সময় । আর তখনই স্বামীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে কোন কাজ করে তারা এর ফলে শুরু হয়ে যায় সংসারে সংঘাত।

এছাড়াও এই বয়সে অনেক কিছু রোগের উপসর্গ হয় মেয়েদের শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পিরিয়ডের সমস্যা অনেক কিছু এর ফলে মানসিক চাপ পড়লে তার একটু খিটখিটে হয়ে যায় ফলের ছোট খাটো ব্যাপারে সম্পর্কে ফাটল ধরে । কিন্তু ঠিকই একই বয়সে পুরুষটির কিন্তু কোন শারিরীক দুর্বলতা আসে না তারা যথেষ্ট উদ্যম হয়ে থাকে ।

ফলে পুরুষটি সেই মুহূর্তে অসহায় হয়ে পড়ে তাই দাম্পত্য জীবনে শুরু হয়ে যায় অশান্তি এমন কি সেটি ডিভোর্স পর্যন্তই এগোতে পারে । তাই অনেকের মতেই সমবয়সী তে বিয়ে হওয়া মানে দাম্পত্য জীবনে সমস্যার বৃদ্ধি করা ।

তাই সাধারণত যদি মেয়েটির থেকে ছেলেটি ৫ বছরের বড় হয় কমপক্ষে এবং খুব বেশি হলে ১০ বছরের বড় এই বয়স টি এক একটি বিবাহের সম্পর্কে পক্ষে যথাযথ । কিন্তু আমাদের পৃথিবীতে ব্যতিক্রম অবশ্যই রয়েছে তাই সমবয়সী দম্পতি ও জে সুখের হয় না তা বলা ভুল অবশ্যই এর ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা যায় সমবয়সী দম্পতিও সুখে জীবন কাটায়।