• ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সিলেটে মানব পাচারকারী চক্রের ২ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-৯

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৬, ২০১৮
সিলেটে মানব পাচারকারী চক্রের ২ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-৯

গত ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখ ১৬:০০ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৯, সিপিসি-১ (সিলেট ক্যাম্প) এর একটি আভিযানিক দল এসএমপি‘র কোতয়ালী থানাধীন জিন্দাবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কানিজ প্লাজা মার্কেটের নিচতলায় তাজ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস অফিস থেকে ৫৪ টি পাস পোর্ট, ০১ টি ল্যাপটপ, ০১ টি চার্জার, ০২ টি পেন ড্রাইভ, ০১ টি ডেস্কটপ, বাংলাদেশী মুদ্রা মোট ৫,৬৮,০০০/- টাকা, বিভিন্ন দেশের মুদ্রা-৭১ টি, ০৯ টি তুর্কি মুদ্রা, ১৯ টি রেজিষ্টার খাতা, ০৪ টি চেক বই, বিভিন্ন ব্যাংকের ০৫ টি চেক (১২,০০,০০০/-টাকা), ০৩ টি বিদেশী সীম কার্ড, ০৬ টি মোবাইল, ০৪ টি সীম কার্ড, বিভিন্ন পাবলিক ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সাথে অর্থ লেনদেনের হিসাব-নিকাশ মোট ১৩ পাতাসহ ০২ জন পেশাদার মানব পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্যকে আটক করে র‌্যাব-৯। আটককৃত মানব পাচাকারীদের নাম ও ঠিকানা- ১। মোঃ মিজানুর রহমান (২৭), পিতাঃ মোঃ সাজিদুর রহমান, সাং-পানিপাড়া, কদমতলী, থানাঃ মোগলাবাজার, ২। মোঃ জয়নাল আবেদীন তোফায়েল (২৭), পিতাঃ জলিল আহম্মেদ, সাং-ফুলবাড়ী, থানাঃ গোলাপগঞ্জ, উভয় জেলাঃ সিলেট। ধৃত অভিযুক্তদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, প্রথম পর্যায়ে পলাতক অভিযুক্ত আব্দুল গণি হাছান (৪৪), (তাজ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস এর মালিক) বিভিন্ন মাধ্যম হতে ইউরোপে যেতে ইচ্ছুক এমন আগ্রহী ব্যক্তিদের সংগ্রহ পূর্বক তাদের পাসপোর্ট সংগ্রহ করে তা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পলাতক অভিযুক্ত এম শফিকুল ইসলাম (৩৪) এর নিকট প্রেরণ করে। পলাতক অভিযুক্ত এম শফিকুল ইসলাম (৩৪) উক্ত পাসপোর্ট ব্যবহার করে কৌশলে ইন্দোনেশিয়ান পাসপোর্ট তৈরী করে এবং পরবর্তীতে ভিসা প্রাপ্তির পর তাজ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস এজেন্সী সিলেটের কোতয়ালীস্থ সুরমা টাওয়ারের সোমা এন্টারপ্রাইজ এর মাধ্যমে টিকেটের ব্যবস্থা করে। টিকেট প্রাপ্তির পর তাজ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরেস অবৈধভাবে বিদেশগামীদেরকে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থা কর্তৃক ঝামেলা এড়ানোর লক্ষে বিভিন্ন ধরণের কৌশল শিক্ষা দেয়। ধৃত অভিযুক্তদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে আরো জানায় যে, ০৩ মাসের ভ্রমণ ভিসা প্রাপ্তির পর অন্যান্য নথিপত্রসহ আলাদা আলাদা খামে ভরে বিদেশগামীদের ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুরে পরবর্তীতে গ্রীস ও আজারবাইজানে প্রেরণ করে। মানব পাচারকারী দলের সদস্যরা বিদেশগামীদেরকে গ্রীসে প্রেরণের ক্ষেত্রে তুরস্ক ও আজারবাইজানকে ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করে। ইন্দোনেশিয়ান পাসপোর্টে মাধ্যমে তুরস্ক ও আজারবাইজানে ভ্রমণ সহজ হওয়ায় মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা অবৈধ ইন্দোনেশিয়ান পাসপোর্ট ব্যবহার করে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরো স্বীকার করে যে, পাচারকৃত বাংলাদেশী বিদেশগামীরা তুরস্কে পৌঁছানোর পর দালাল চক্রের তুরস্কের এজেন্ট পলাতক অভিযুক্ত আঃ বাসেত (৪০) তুরস্কের এয়ারপোর্ট থেকে তাদের রিসিভ করে পূর্বে নির্ধারিত হোটেলে নিয়ে যায় এবং পাচারকৃত বাংলাদেশী বিদেশগামীরা আজারবাইজানে পৌঁছানোর পর দালাল চক্রের আজারবাইজানের এজেন্ট পলাতক অভিযুক্ত মিলন মিয়া (৩৩) আজারবাইজানের এয়ারপোর্ট থেকে তাদের রিসিভ করে পূর্বে নির্ধারিত হোটেলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সড়ক পথে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে অবৈধ ভাবে গ্রীসসহ ইউরোপিয় বিভিন্ন দেশে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করে। এভাবে সংগবদ্ধ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবৈধ্য মানব পাচার সংগঠিত করে থাকে। গ্রেফতারকৃত মানব পাচাকারীদেরকে এসএমপির কোতয়ালী থানায় হস্তান্তর করা করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি