• ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

বিজয়ী হলে নান্দনিক শহর বানাবো : সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী ডা. প্রিয়াঙ্কা

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৭, ২০১৮
বিজয়ী হলে নান্দনিক শহর বানাবো : সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী ডা. প্রিয়াঙ্কা

সিলেট সুরমা ডেস্ক : একাদশ সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-১ (সদর) আসনে দেশের সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী হয়ে আলোচনায় ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা (২৫)। তিনি ওই আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়ে লড়ছেন। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী ৪ বারের সংসদ সদস্য, হুইপ আতিউর রহমান আতিক। কারাবন্দি পিতা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, শিল্পপতি আলহাজ মো. হযরত আলীর প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন এই তরুণী চিকিৎসক। দৈনিক মানবজমিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে ডা. প্রিয়াঙ্কা চিকিৎসক থেকে হঠাৎ রাজনীতিতে আসার কারণ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানান। তিনি বলেন, এই আসনে তার পিতা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলীই ছিলেন শক্তিশালী প্রার্থী। কিন্তু ‘মিথ্যা ও সাজানো মামলা’য় দীর্ঘ ৩ মাস যাবৎ তাকে হাজতে আটক রাখায় বাবার অবস্থান ধরে রাখতে পরিবার ও দলের পরামর্শেই তিনি প্রার্থী হয়েছেন। তার মতে, রাজনীতিতে নবীন হলেও তিনি শিক্ষা জীবন থেকেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপির প্রতি অনুরাগী।

তারই ধারাবাহিকতায় চিকিৎসক পেশার সুবাদে তিনি শুরু থেকেই বিএনপিপন্থি চিকিৎসক সংগঠন ড্যাবের সঙ্গে জড়িত এবং তার নির্বাহী সদস্য। ড্যাবের মাধ্যমে এলাকায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পসহ বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান। এ ছাড়া বাবা ও দলের সঙ্গেও কাজ করেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে তার গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নে তিনি বলেন, এ আসনে বিএনপির শক্ত অবস্থানের পাশাপাশি ধানের শীষের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। এ আসনের মানুষ দীর্ঘ ২২ বছর পর ধানের শীষের প্রার্থী পাওয়ায় এখন অনেকটাই আবেগাপ্লুত। প্রার্থী সংকটের কারণে আমাকে পেয়ে তারা বেশ স্বাচ্ছন্দ্যই বোধ করছেন। বিএনপির পাশাপাশি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মাঝেও আমার প্রতি বিরূপ মনোভাব দেখছি না। যে কারণে ধানের শীষের প্রতি মানুষের ভালোবাসায় আমাদের নেতারাও ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনী মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে পিতা হযরত আলীকে কারাগারে রাখা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, দুদকের মামলায় জামিন পেলেও ফের তাকে আটকানো হয়েছে। অথচ ওইসব মামলায় অনেকেই বাইরে থেকে নির্বাচন করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এ আসনে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উনি শ্রদ্ধার পাত্র, সজ্জন মানুষ, উনার কাছে শেখার অনেক কিছু আছে। তবে নিজেকে অনেক ‘লাকি’ মনে করছি, কারণ সর্বকনিষ্ঠ একজন প্রার্থী হিসেবে উনার বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো। আমি মনে করি রাজনীতিতে হার-জিৎ থাকবেই। তবে এখনো সারা দেশের মতো শেরপুরেও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি। বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধ করে প্রশাসন ও পুলিশকে নিরপেক্ষতা প্রমাণ করতে হবে। যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তবে ধানের শীষের জয় হবেই ইনশাআল্লাহ।
বিজয়ী হলে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিজয়ী হলে শেরপুরে অবশ্যই একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার কাজে হাত দেবো। সেই সঙ্গে উদ্যোগ নেবো একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায়। এখানকার নারীদের শিক্ষার হার আরো বাড়ানোর পাশাপাশি যুব সমাজের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা করবো। হাসপাতালগুলোসহ স্বাস্থ্যসেবার মানের উন্নয়ন ঘটাবো। শেরপুর শহরকে একটি নান্দনিক ও মডেল টাউন হিসেবে গড়ে তুলবো। জানা যায়, ১৯৯৩ সালের ২২শে জুন জন্ম নেয়া ডা. প্রিয়াঙ্কা ২০০৮ সালে এসএসসি ও ২০১০ সালে এইচএসসি এবং ২০১৬ সালে এমবিবিএস পাস করেন। তিনি বর্তমানে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রভাষকের দায়িত্ব পালন করছেন।

মো. ফরিদুজ্জামান, শেরপুর থেকে | ৭ ডিসেম্বর ২০১৮, শুক্রবার | তথ্য সূত্র, মানবজমিন লিংক সংযুক্ত