• ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

কুপিয়ে হত্যা, আটক-৩ 

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১০, ২০১৮
কুপিয়ে হত্যা, আটক-৩ 

সিলেট সুরমা ডেস্ক : জমির মালিকানা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ১নং রহিমপুর ইউনিয়নের উত্তর বড়চেগ গ্রামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সন্দেহভাজন ৩ ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (৯ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টায় কুপিয়ে গুরুতরভাবে আহত ব্যক্তিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সন্ধ্যা ৭টায় তার মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তি উত্তর বড়চেড় গ্রামের নজির মিয়ার ছেলে গিয়াস মিয়া (৩৫)।

নিহতের আত্মীয় মোস্তাক মিয়া জানান, ২০ শতাংশ ধানি জমি নিয়ে উত্তর বড়চেগ গ্রামের মৃত হাজী রমিজ মিয়ার ছেলে জামাল মিয়া (৩৮) ও বাদশাহ মিয়া (৩৫)-র সাথে নিহত গিয়াস মিয়ার পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে রহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদে ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সামাজিক বিচারের পর বিরোধপূর্ণ জমি গিয়াস মিয়াদের উল্লেখ করে জমির সীমানায় খুঁটি স্থাপন করা হয়েছিল। সম্প্রতি জামাল মিয়া দুবাই থেকে দেশে ফিরে সামাজিক বিচারের পর জমি সীমানায় স্থাপিত খুঁটি উপড়ে ফেলে।

রোববার সন্ধ্যার আগে গিয়াস মিয়া নিজের ধানি জমি দেখতে গিয়ে সীমানা খুঁটি উপড়ে ফেলার প্রতিবাদ করলে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে জামাল মিয়া, তার ভাই বাদশাহসহ সহযোগীরা দা দিয়ে কুপিয়ে গিয়াস মিয়াকে গুরুতরভাবে আহত করে। গ্রামবাসীর সহায়তায় গিয়াস মিয়াকে উদ্ধার করে স্বজনরা সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে মৃত্যু হয় গিয়াস মিয়ার।

ঘটনার খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান, পরিদর্শক (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাসসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাজ্জাদ মিয়া, সোহেল মিয়া ও সুজন মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে মূল হামলাকারী জামাল মিয়া ও বাদশাহ মিয়া পালিয়ে যায়।

কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাস হত্যাকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে।