• ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

জ্ঞানভিত্তিক সোনার বাংলা গড়তে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে : রাষ্ট্রপতি

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮
জ্ঞানভিত্তিক সোনার বাংলা গড়তে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে : রাষ্ট্রপতি

সিলেট সুরমা ডেস্ক : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের পথ বেয়ে দেশকে জ্ঞানভিত্তিক, প্রজ্ঞাময় সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন। আগামীকাল ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান।
রাষ্ট্রপতি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ১৯৭১ সালে বিজয়ের প্রাক্কালে হানদার বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শাহাদত বরণকারী শহীদ বুদ্ধিজীবীদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তিনি বলেন, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধাপে ধাপে বহু আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে মুক্তিসংগ্রামের জন্য প্রস্তুত করে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তাঁরই আহ্বানে গোটা জাতি মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে আনে ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, হানাদারবাহিনী তাদের নিশ্চিত পরাজয় আঁচ করতে পেরে জাতিকে মেধাশূন্য করার হীন উদ্দেশ্যে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার-আলবদরবাহিনীর সহযোগিতায় আত্মসমর্পণের প্রাক্কালে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পীসহ বহু গুণীজনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। জাতি হারায় তার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের।
তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবীরা দেশ ও জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির রূপকার। তাঁদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা, সৃজনশীল কর্মকা-, উদার ও গণতান্ত্রিক চিন্তাচেতনা জাতীয় অগ্রগতির সহায়ক। জাতির বিবেক হিসেবে খ্যাত দেশের বুদ্ধিজীবীরা তাঁদের ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টি, যুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারকে পরামর্শ প্রদানসহ বুদ্ধিবৃত্তিক চেতনা দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিতে বিপুল অবদান রাখেন।
আবদুল হামিদ বলেন, কিন্তু জাতির দুর্ভাগ্য, বিজয়ের প্রাক্কালে হানদারবাহিনী পরিকল্পিতভাবে এ দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবীদের নিমর্মভাবে হত্যা করে। জাতির জন্য যা ছিল এক অপূরণীয় ক্ষতি। শহিদ বুদ্ধিজীবীদের রেখে যাওয়া আদর্শ ও পথকে অনুসরণ করে অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সমাজ গড়তে পারলেই তাঁদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।