• ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

স্কুলের নাম ভাঙিয়ে পৈতৃক ভূমিতে স্থাপনা নির্মাণ করছে ভূমিখেকোরা

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮
স্কুলের নাম ভাঙিয়ে পৈতৃক ভূমিতে স্থাপনা নির্মাণ করছে ভূমিখেকোরা

১৪৪ ধারা অমান্য করে স্কুলের নামে ভূমিখেকো চক্র জোরপূর্বক পৈতৃক জায়গা দখল করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক পৌরশহরের তাতিকোণা পৌর এলাকার মৃত রাম শংকর ভট্টাচার্যের পুত্র শেখর ভট্টাচার্য। বুধবার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমাদের মৌরসী সূত্রে প্রাপ্ত ভূমি, স্থানীয় ভূমিখেকো চক্রের সদস্যরা জবরদখল করে নিয়েছে। বর্তমানে অবশিষ্ট কিছু ভূমি দখলের জন্য ঐ চক্রটি নানা অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা খুবই প্রভাবশালী। তিনি বলেন, আমরা কাগজপত্র দেখানোর পরও তারা প্রাণে হত্যাসহ মারপিটের হুমকি দিচ্ছে। আমাদের পূর্ববর্তী দুর্গাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য্যর শরীক মহন্ত কুমার দাস আমাদের অংশের জায়গাসহ কিছূ ভূমি ছাতক বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে দান করেছিলেন। ঐ দানপত্র সূত্রে স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকসহ প্রভাবশালীরা মিলে জাল কাগজের মাধ্যমে জোর করে দখলে নিয়েছে। প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে নালিশ করেও আমরা কোন ফল পাচ্ছিনা। ছাতক উপজেলার ২১৭নং জে.এলের ৪৪, ৪৫, ৪৩২ ও ৪৬ দাগের অপরাপর ভূমি থেকে মহন্ত কুমার দাস তার অংশের ০.৭১৫৪ একর ভূমি পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি বর্ণিত দাগের সকল শরীকের ০.৭১৫৪ একর ভূমি এককভাবে সেটেলমেন্ট জরিপে ৪৩২ দাগে ১.৩২ একর ভূমি থেকে ০.৭১ একর ভূমি ছাতক বহুমুখী হাইস্কুল দান করেছিলেন। অবশিষ্ট ০.৬৫ একর ভূমি আমাদের দখলেই থাকে।
শেখর বলেন, আমি ও আমার পারিবারিক অপর শরীকগণ দূর্গা প্রসন্ন ভট্টাচার্যের অংশের ভূমিতে উত্তরাধিকার সূত্রে ভোগাধিকার করছি। এ অবস্থায় া.ঢ় তালিকাভূক্ত অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন ট্রাইবুনাল সুনামগঞ্জ আদালতে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন মোকদ্দমা (নং ১৯৯/২০১২) দায়ের করি। আদালত ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি এই ভূমি অর্পিত সম্পত্তি নয় মর্মে ডিক্রি প্রদান করেছেন।
এ অবস্থায় ছাতক বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে বিদ্যালয়ের সেক্রেটারি মইনুল হোসেন চৌধুরীসহ ম্যানেজিং কমিটির ভূমিখেকো সদস্য এই ০.৬৫ একর ভূমির উপর জোর করে স্থাপনা নির্মানের চেষ্টা করেন। আমরা বাধা প্রদান করি এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্য্যবিধি মতে মামলাদায়ের করি। আদালত তা গ্রহন করে ১৪৪ ধারা জারি এবং গত ১০ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে উভয়পক্ষে নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় তার দুইদিন কাজ বন্ধ রেখে পরে আবার শুরু করেছেন। প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করলে দায়িত্বপ্রাপ্ত এস আই তার কিছু করার নাই বলে এড়িয়ে যান। ভূমি অফিসে যোগাযোগ করে জানতে পারি, প্রধান শিক্ষক বর্ণিত ৪৩২ দাগের সাকুল্য ভূমি জাল দলিল সৃষ্টি করে নামজারী করিয়েছেন। আমরা ছাতক অফিসে রিভিউ মামলা দায়ের করি, যা এখনও চলছে। তবে তারা স্থাপনা তৈরির কাজ অব্যাহত রেখেছে। বিভিন্ন মাধ্যমে বিভিন্নভাবে আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। শেখর ভূমিখেকো চক্রটিকে বিরত রাখতে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সরকারের প্রধানমন্ত্রী, প্রশাসনসহ সমাজের বিবেকবান মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন। সংবদা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হাঁসিরাণী ভট্টাচার্য, সুলতা ভট্টাচার্য, সমীর ভট্টাচার্য, সঞ্জীব ভট্টাচার্য, বিভূভূষন ভট্টাচার্য বিজু ভুষণ ভট্টাচার্য, রিগ্যান ভট্টাচার্য, রূপক ভট্টাচার্য, পুলক ভট্টাচার্যসহ তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।