• ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ৬, ২০১৯
মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

সিলেট সুরমা ডেস্ক : একাদশ সংসদের মন্ত্রিসভায় সিলেট বিভাগ থেকে ডাক পেয়েছেন ৫ জন সংসদ সদস্য। এদের মধ্যে পূর্ণ মন্ত্রী তিনজন এবং প্রতিমন্ত্রী দুজন।

রোববার (৬ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন।

মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন ৪৬ জন সদস্য। এর মধ্যে মন্ত্রী হিসেবে ২৪ জন, প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ১৯ জন এবং উপমন্ত্রী ৩ জন।

বিভাগের সিলেট জেলার দুজন, মৌলভীবাজারের একজন, সুনামগঞ্জের একজন ও হবিগঞ্জের একজনকে মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হচ্ছে।

নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেবেন ৭ জানুয়ারি সোমবার বিকেলে। ইতিমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে শপথ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের টেলিফোন করে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

‘মর্যাদাপূর্ণ’ সিলেট-১ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন সিলেট-৪ আসনের সাংসদ ইমরান আহমদ।

মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ী) আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মো. শাহাব উদ্দীন মন্ত্রী হচ্ছেন। বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন তিনি।

গত মেয়াদে সরকারে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সুনামগঞ্জ-৩ (দক্ষিণ সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর) আসনের সাংসদ এম এ মান্নান এবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন।

বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী।

এবার পূর্ণ মন্ত্রী হচ্ছেন ২৪ জন। এরা হলেন, আ ক ম মোজাম্মেল হক (মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক), ওবায়দুল কাদের (সড়ক পরিবহণ ও সেতু), আবদুর রাজ্জাক (কৃষি), আসাদুজ্জামান খান কামাল (স্বরাষ্ট্র), হাছান মাহমুদ (তথ্য), আনিসুল হক (আইন), আ হ ম মুস্তফা কামাল (অর্থ), তাজুল ইসলাম (স্থানীয় সরকার), দীপু মনি (শিক্ষা), এ কে আবদুল মোমেন (পররাষ্ট্র), এম এ মান্নান (পরিকল্পনা), নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন (শিল্প), গোলাম দস্তগীর গাজী (বস্ত্র ও পাঠ), জাহিদ মালেক (স্বাস্থ্য), সাধন চন্দ্র মজুমদার (খাদ্য), টিপু মুনশি (বাণিজ্য), নুরুজ্জামান আহমেদ (সমাজকল্যাণ), শ ম রেজাউল করিম (গণপূর্ত), মো. শাহাব উদ্দিন (পরিবেশ ও বন), বীর বাহাদুর ঊশৈ সিং (পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক), সাইফুজ্জামান চৌধুরী (ভূমি), নুরুল ইসলাম সুজন (রেলপথ), ইয়াফেস ওসমান—টেকনোক্রাট (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি), মোস্তাফা জব্বার—টেকনোক্রাট (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি)।

১৯ জন প্রতিমন্ত্রী হলেন- কামাল আহমেদ মজুমদার (শিল্প), ইমরান আহমেদ (প্রবাসী কল্যাণ), জাহিদ আহসান রাসেল (যুব ও ক্রীড়া), নসরুল হামিদ (বিদ্যু ও জ্বালানি), আশরাফ আলী খান খসরু (মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ), মন্নুজান সুফিয়ান (শ্রম), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (নৌ পরিবহন), জাকির হোসেন (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা), শাহরিয়ার আলম (পররাষ্ট্র), জুনায়েদ আহমেদ পলক (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি), ফরহাদ হোসেন (জনপ্রশাসন), স্বপন ভট্টাচার্য (স্থানীয় সরকার), জাহিদ ফারুক (পানিসম্পদ), মো. মুরাদ হাসান (স্বাস্থ্য), শরীফ আহমেদ (সমাজকল্যাণ), কে এম খালিদ (সংস্কৃতি), এনামুর রহমান (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ), মাহবুব আলী (বিমান), শেখ মো. আবদুল্লাহ—টেকনোক্রাট (ধর্ম)।

৩ উপমন্ত্রী হলেন—হাবিবুন নাহার (পরিবেশ), এ কে এম এনামুল হক শামীম (পানিসম্পদ), মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (শিক্ষা)।

নতুন মন্ত্রীদের শপথের জন্য রোববার সকাল থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আলাদা আলাদা ফাইল ও শপথ ফোল্ডার প্রস্তুত করার পাশাপাশি ফোন করে জানানো হয় মন্ত্রিসভার হবু সদস্যদের।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে গণভবনে ডেকে নেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সময়ই তার হাতে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের তালিকা দেওয়া হয় বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়।