• ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই চান শাহজালাল উপশহরবাসী

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ২৬, ২০১৯
বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই চান শাহজালাল উপশহরবাসী

বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই চান শাহজালাল উপশহরবাসী

সিলেট সুরমা ডেস্ক : নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সুনাম নষ্ট করার লক্ষে পার্শ্ববর্তি ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শিবগঞ্জ সোনারপাড়াস্থ নবারুণ এলাকার বাসিন্দা মো. ওয়ালিদ হোসেন তার সহযোগীদের নিয়ে অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। ওয়ালিদ নিজেকে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী দাবি করে। অথচ আওয়ামী পরিবারের সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। বিভিন্ন সময় উপশহরে বিভিন্ন ধরণের টং, ভাসমান দোকান বসিয়ে সে নানা ধরণের অবৈধ ব্যবসা করার পায়তারা করছে। উপশহরে অবস্থিত সেটেলমেন্ট অফিসে গিয়ে চাঁদাবাজি করে, নানা ধরণের ভয়ভীতি প্রদর্শনই তার মূল পেশা। তার যন্ত্রণায় উপশহর এলাকাবাসী অতীষ্ট। সে অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে ভূমি অফিসের কাজ করে দেয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে তাদেরকে কোনো ধরনের কাজ করে দেয়নি। উল্টো তাদের হয়রানী করছে।

গত বুধবার দুপুরে নগরীর জিন্দাবাজারস্থ সিলেট জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করা হয়েছে। শাহজালাল উপশহর আবাসিক এলাকাবাসীর পক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপশহরের বাসিন্দা কামাল উদ্দিন এমন অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, সোনারপাড়ার ওয়ালিদ হোসেন তার সহযোগী সেপুল ও ফখর উপশহরের ছিনতাই কর্মকান্ডের মদদদাতা। শুধুমাত্র ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ভেতরেই উপশহর এলাকা সীমাবদ্ধ। কিন্তু সোনারপাড়া, তেররতন অথবা মেন্দিবাগ এলাকায় কোন ঘটনা ঘটলেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসে উপশহরের নাম। বাস্তবে তেররতন ২৪ নম্বর ওয়ার্ড ও মেন্দিবাগ ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং সোনারপাড়া ২১নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত।

লিখিত বক্তব্যে কামাল উদ্দিন উল্লেখ করেন, শাহজালাল উপশহরে দীর্ঘদিন ধরে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা অপকর্ম করার পায়তারা করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারদলের নেতা পরিচয়ে এলাকা ও প্রশাসনে প্রভাব বিস্তার করে অপকর্ম ও অঘটন চালিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা চালাচ্ছে একটি মহল। ওয়ালিদ ও তার সহযোগিরা এলাকাজুড়ে জুয়া ও তীর খেলার বোর্ড, ইয়াবা ব্যবসাসহ অসামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনার পায়তারা চালাচ্ছে। কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ সেলিম ও এলাকাবাসী মিলে তাদের অপকর্ম প্রতিহত করার কারণে তারা এখন কাউন্সিলর সেলিমের বিরুদ্ধাচরণ করছে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা অবৈধভাবে উপশহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফুটপাত দখল ও অবৈধস্থাপনা তৈরির চেষ্টা করে যাচ্ছে। এসবও প্রতিহত করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, কিছুদিন পূর্বে সন্ত্রাসী বাহিনী মিলে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে খুন করে। এই খুনের ঘটনায়ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডবাসি মানববন্ধনসহ নানা ধরণের প্রতিবাদ করে। সেই সন্ত্রাসীরা বহিরাগতদের নিয়ে পুনরায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সংঘটনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।