• ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

‘পার্কিং নিষেধেই’ অটোষ্ট্যান্ড, নেপথ্যে সিসিক কাউন্সিলর!

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ৩১, ২০১৯
‘পার্কিং নিষেধেই’ অটোষ্ট্যান্ড, নেপথ্যে সিসিক কাউন্সিলর!

'পার্কিং নিষেধেই' অটোষ্ট্যান্ড, নেপথ্যে সিসিক কাউন্সিলর!

স্টাফ রিপোর্টার :::  সিলেটে ‘পার্কিং নিষেধ’ সাইনবোর্ডের পাশেই গড়ে উঠেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ষ্ট্যান্ড। ব্যস্ততম রাস্তা দখল করে চলছে এই ব্যবসা।  এ কারণে যানজট লেগে থাকে সবসময়। চরম দূর্ভোগে পড়তে হয় সাধারণ মানুষ ও পথচারীদের।

এ অবস্থা চলছে নগরীর পাঠানটুলা মদীনা মার্কেট এলাকায়, ব্যস্ততম সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক সূত্রের অভিযোগ, স্থানীয় কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান সাইনবোর্ড টানালেও ষ্ট্যান্ডটিও চলছে তারই ছত্রচ্ছায়ায়।  তবে তিনি তা অস্বীকার করেছেন।  সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের পাঠানটুলা মদীনা মার্কেট পয়েন্ট ও মসজিদের পাশে ‘পার্কিং নিষেধ’ লেখা সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে।  এর নিচে লেখা অনুরোধক্রমে ‘৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর’।

অথচ এই স্থানেই সবসময় ১০ থেকে ৩০/৩৫টি অটোরিকশা দাঁড়িয়ে থাকে। অনেকদিন থেকেই চলছে এর কার্যক্রম। সরজমিনে দেখা গেছে, সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের এই অংশে অর্ধেক লোহার পাইপ দিয়ে আলাদা করে সিএনজি ষ্ট্যান্ড বসানো হয়েছে। অভিযোগ আছে, এই ষ্ট্যান্ডের চালকদের কাছ থেকে প্রতিদিন তিন থেকে ৪ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। এর থেকে দুই হাজার টাকা দিতে হয় কাউন্সিলর কামরানকে। প্রতিদিন রাতে তার লোকজন টাকা নিয়ে যায়।

শুধু ষ্ট্যান্ড নয়, আশপাশের ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে বসা সবজি বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও প্রতিদিন ২০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয় বলে স্থানীয়রা জানান। তবে কাউন্সিলর কামরান টাকা আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।  তিনি বলেছেন, এই ষ্ট্যান্ড নিয়ে গাড়িওয়ালাদের সাথে অনেক দেন-দরবার তিনি করেছেন।  তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে কয়েকবার। কিন্তু তবু তারা ষ্ট্যান্ডের কার্যক্রম চালাচ্ছে। টাকা আদায় প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, প্রশ্নই ওঠেনা।  আমি এই ষ্ট্যান্ডের বিরুদ্ধে। সাইনবোর্ড আমিই টানিয়েছি। কেউ টাকা আদায়ের বিষয়টি প্রমাণ করতে পারলে আমি কাউন্সিলরের পদ ছেড়ে দেবো।

তিনি আরও বলেন, আবারও ষ্ট্যান্ড উচ্ছেদে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। এদিককে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই ষ্ট্যান্ডটি সিলেট জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন (৭০৭) এর একটি শাখা। এখানে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি অটোরিকশা থাকে।

ষ্ট্যান্ডের বৈধতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিলেট জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন (৭০৭) এর সভাপতি জাকারিয়ার নম্বরে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নি।  তবে মাউন্টএডোরার সামনে এই শাখার যে দুটি ষ্ট্যান্ড চলছে, তার ম্যানেজার কবির খান টাকা কাউন্সিরের সাথে লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।  আর সিলেট জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন (২০৯৭) এর সাথে জড়িত একটি ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, যেমন শোনা যাচ্ছে, আমরাও তেমন শুনছি। ঘটনা সেরকমই।