• ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে নারী পুলিশ কর্মকর্তার ‘আত্মহত্যা’

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৯
বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে নারী পুলিশ কর্মকর্তার ‘আত্মহত্যা’

বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে নারী পুলিশ কর্মকর্তার ‘আত্মহত্যা’

সিলেট সুরমা ডেস্ক ::: বগুড়ার ধুনট থানার এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা দাম্পত্য কলহের জের ধরে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করছে তার পরিবার।

মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত নয়টার দিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

মারা যাওয়া সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এর নাম রোজিনা খাতুন (৩২)।

ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মোহাম্মদ সালেহ জানান, রোজিনা খাতুন বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেটের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পোকামাকড় দমনে অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড গ্রুপের এক ধরনের ট্যাবলেট বাজারে পাওয়া যায়। এটাকে স্থানীয়ভাবে গ্যাস ট্যাবলেট বলা হয়ে থাকে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের নান্নু মিয়ার একমাত্র মেয়ে রোজিনা খাতুন। তিনি ২০০৭ সালে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি নেন। প্রশিক্ষণ শেষে ২০০৮ সালে একই এলাকার আবদুল লতিফ মোল্লার ছেলে হাসান আলীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। রোজিনার স্বামী সিংড়া উপজেলার দমদমা কারিগরি স্কুলের সহকারী শিক্ষক। রোজিনা-হাসান দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

রোজিনা খাতুন এএসআই পদে পদোন্নতি পেয়ে ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি ধুনট থানায় যোগ দেন। ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে ধুনট থানা ভবনের পাশে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন রোজিনা। আর স্বামী হাসান আলী চাকরির সুবাদে গ্রামের বাড়িতে থাকেন।

রোজিনার বাবা নান্নু মিয়া বলেন, ঘটনার সময় তিনি ও তার স্ত্রী রোজিনার বাসায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, পাঁচ–ছয় বছর ধরে জামাতার সঙ্গে তার মেয়ের কোনো একটা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার জামাতা হাসান আলী ওই বাসায় আসেন। দুদিন থেকে গত শনিবার গ্রামের বাড়িতে চলে যান জামাতা। এরপর থেকেই রোজিনা মন মরা হয়ে ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, বেলা ১১টার দিকে রোজিনা গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা প্রথমে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর রাত ১১টার দিকে মারা যান রোজিনা।

রোজিনার স্বামী হাসান আলী দাবি করেন, তার সঙ্গে স্ত্রীর কোনো বিরোধ ছিল না। কেন রোজিনা বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করলেন, তা তার জানা নেই।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ধুনট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে রোজিনার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে যাথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।