• ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

উচ্চ আদালতে স্কুলছাত্র ইমন হত্যা মামলার রায়ের নথি

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
উচ্চ আদালতে স্কুলছাত্র ইমন হত্যা মামলার রায়ের নথি

চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র ইমন হত্যা : চারজনের মৃত্যুদণ্ড

সিলেট সুরমা ডেস্ক : সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র শিশু মোস্তাফিজুর রহমান ইমন হত্যা মামলায় ৪ আসামির ফাঁসির আদেশসহ সম্পূর্ণ নথি সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিষ্ট্রার বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে।

সোমবার ১১ (ফেব্রুয়ারি) নথিপত্র রেজিষ্ট্রার দপ্তরে পৌছেছে বলে আদালত সুত্রে জানা যায়।  এর আগে সিলেটের দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রেজাউল করিম ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারামতে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পত্র ইস্যু করেন। এছাড়া বিচারক মামলার রায়ের নথি সুনমাগঞ্জ আদালতেও প্রেরণের নির্দেশ দেন।

আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মামলার রায়ের সব নথিপত্র প্রেরণ করা হয়েছে।

হত্যা, অপহরণ ও লাশ গুমের অভিযোগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি আলোচিত ওই মামলায় দুই জামায়াত নেতাসহ ৪ আসামীর ফাঁসির আদেশ দেন সিলেটের দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রেজাউল করিম।

ফাঁসির আদেশ প্রাপ্ত আসামীরা হলেন, ছাতকের ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের জামায়াতের সেক্রেটারি ও ব্রাহ্মণজুলিয়া গ্রামের মৃত মখলিছ মিয়ার ছেলে, বাতির কান্দি মসজিদের ইমাম শুয়াইবুর রহমান সুজন, বাতির কান্দি গ্রামের আব্দুল মুক্তাদিরের ছেলে রফিকুল ইসলাম রফিক ও নোয়ারাই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি বাতিরকান্দি গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে জাহেদুর রহমান ও একই গ্রামের আব্দুল কবিরের ছেলে সালেহ আহমদ। এরমধ্যে সালেহ আহমদ ঘটনার পর থেকেই পলাতক।

রায়ে মৃত্যুদন্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ২০১/৩৪ ধারায় প্রত্যেক আসামীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ড দেন আদালত।

প্রসঙ্গত, ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের বাতিরকান্দি গ্রামের সৌদি প্রবাসী জহুর আলীর ছেলে ও লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কারখানার কমিউনিটি বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেনীর ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান ইমনকে ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ অপহরণ করা হয়। ওইদিন বিকালে সে বাড়ির পাশে খেলা করছিল। মুক্তিপনের ২ লাখ টাকার মধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা পাওয়ার পরও অপহরণকারীরা শিশু ইমনকে হত্যা করে। ৫ এপ্রিল রাতে ইমনের বাড়ি সংলগ্ন মসজিদের আঙ্গিনায় তাকে বিষ পান করিয়ে গলাকেটে হত্যা করা হয়। তিন বছর ১১ মাস পর ৪ ফেব্রুয়ারি চাঞ্চল্যকর ওই মামলার রায় ঘোষনা করেন আদালত। রায় দ্রুত কার্যকর হবে এমন প্রত্যাশা করেছেন মামলার বাদি ও নিহত ইমনের পিতা জহুর আলী।