• ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ বন্ধুর মৃত্যু

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ বন্ধুর মৃত্যু

সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ বন্ধুর মৃত্যু

সিলেট সুরমা ডেস্ক : মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে বাঁচাতে গিয়ে খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে।  তারা স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা ছিলেন।

খুলনার রূপসা ব্রিজ এলাকায় গতকাল রোববার রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন তাঁরা। নিহত সবার বাড়ি গোপালগঞ্জ।

মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাইভেটকারটি একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটিয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। নতুন কেনা গাড়ি নিয়ে বেড়াতে বের হয়ে আর ফেরা হলো না তাদের।

সদর থানা যুবলীগের সহসভাপতি সাদিকুল আলমের সদ্য কেনা প্রাইভেটকারে খুলনায় বেড়াতে যান পাঁচ বন্ধু। রাত পৌনে ১২টার দিকে খুলনা থেকে গোপালগঞ্জের উদ্দেশে ফেরার পথে রূপসা ব্রিজের কাছে লবণচরা হরিণটানা এলাকায় পৌঁছালে সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাকের সঙ্গে প্রাইভেট কারটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন পাঁচ বন্ধু। সাদিকুলই ছিলেন চালকের আসনে।

নিহতরা হলেন- গোপালগঞ্জ শহরের সবুজবাগের আবদুল ওয়াদুদ মিয়ার ছেলে ও গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব হাসান বাবু, একই এলাকার আলাউদ্দিন শিকদারের ছেলে ও গোপালগঞ্জ সদর যুবলীগের সহ-সভাপতি সাদিকুল আলম, থানাপাড়ার গাজী মিজানুর রহমানের ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের উপ-সম্পাদক ওয়ালিদ মাহমুদ উৎসব, গেটপাড়া এলাকার আলমগীর হোসেন মোল্লার ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সাজু আহমেদ এবং চাঁদমারী এলাকার ওয়াহিদ গাজীর ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের সদস্য আমিনুল ইসলাম গাজী।

সাদিকুল ছাড়া সবাই স্থানীয় কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।

গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের পাঁচ নেতার লাশ বাড়িতে পৌঁছানোর পর পরিবারে চলছে শোকের মাতম। পাঁচ নেতার মৃত্যুতে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

সোমবার বাদ জোহর গোপালগঞ্জ শেখ ফজলুল হক মণি স্টেডিয়ামে নিহত ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

শহরের থানাপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, দুর্ঘটনায় নিহত গাজী ওয়ালিদ মাহমুদ উৎসবের বাড়িতে চলছে স্বজনদের আহাজারি। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে পাগলপ্রায় গোটা পরিবার। উৎসব জেলা আওয়ামী লীগ নেতা গাজী মিজানুর রহমানের ছেলে ও প্রধানমন্ত্রীর অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার গাজী হাফিজুর রহমানের ভাইয়ের ছেলে।

গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান বলেন, ‘এই মর্মান্তিক মৃত্যু গোপালগঞ্জবাসীকে মর্মাহত করেছে। এই মৃত্যুতে গোপালগঞ্জে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আজ যে পাঁচটি ছেলে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে, তাদের সামনে সোনালি স্বপ্ন ছিল। তাদের মৃত্যুতে জেলা আওয়ামী লীগ পাঁচজন ভবিষ্যৎ মেধাবী নেতা হারাল।’

লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, পাঁচ বন্ধু একটি ব্যক্তিগত গাড়িতে করে খুলনায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। গাড়িটি খুলনা মহানগরীর জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে গোপালগঞ্জ ফেরার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয়।

তিনি বলেন, খেজুরবাগান অতিক্রম করার সময় মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি গাড়ির সামনে এসে পড়ে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে মোংলা থেকে আসা সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাকের সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়িটির সংঘর্ষ হয়।