• ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ৯ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

বিশ্বের সবচেয়ে গতিশীল শিশু রুডলফ ইংগ্রাম

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯
বিশ্বের সবচেয়ে গতিশীল শিশু রুডলফ ইংগ্রাম

বিশ্বের সবচেয়ে গতিশীল শিশু রুডলফ ইংগ্রাম

সিলেট সুরমা ডেস্ক : বয়স মাত্র ৭ বছর।  এ বয়সেই বিশ্বরেকর্ড একটি শিশুর কল্পনা করা যায়।  তাও যেই সেই বিশ্বরেকর্ড নয়।  বিশ্বের সবচেয়ে গতিশীল শিশু।  মাত্র ১৩.৪৮ সেকেন্ডে সে ১০০ মিটার স্প্রিন্টিং দৌড়ে গড়েছে এই রেকর্ড। অবিশ্বাস্য মনে হতেই পারে।  কিন্তু কোনো বানোয়াট কথা নয়, ঘটনা সত্য।  এই গতি শিশুর নাম রুডলফ ইংগ্রাম।

সবার কাছে তার পরিচিতি ব্লেজ নামে।  তার বাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়। ছয় মাস আগে সে খ্যাতি পেতে শুরু করে। তখন ন্যাশনাল বাস্কেটবল এসোসিয়েশনের লিব্রোন জেমস একটি ভিডিও পোস্ট করেন। তাতে দেখা যায় আমেরিকান একটি ফুটবল গেমে ব্লেজ অন্যদের পিছনে ফেলে কিভাবে তর তর করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। তারপর ব্লেজ ফিরে এসেছে ট্র্যাকে। সপ্তাহান্তে দৌড়ায় সে। আর তাতেই পেয়েছে স্প্রিন্টিংয়ে সুপারকিড খেতাব। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে তার অনুসারীর সংখ্যা কমপক্ষে ৩ লাখ ১০ হাজার। ইন্সটাগ্রামে এই একাউন্টটি পরিচালনা করে ব্লেজের পিতা রুডলফ সিনিয়র। এতে একটি পোস্টে বলা হয়েছে, ১০০ মিটার স্প্রিন্টিং মাত্র ১৩.৪৮ সেকেন্ডে শেষ করেছে ব্লেজ। ব্যক্তিগত সবচেয়ে সেরা রেকর্ডের চেয়ে এই সময় ব্লেজের জন্য ১.৫ সেকেন্ড কম। এর মধ্য দিয়েই সে নিজের ব্যক্তিগত রেকর্ড ভেঙে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। তবে তার পিতার এই দাবি যদি সত্যি হয় তাহলে তা হবে নতুন এক রেকর্ড। ইউএস ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড বলছে, এর আগে ৭ বছর বয়সী শিশুর ১০০ মিটার স্প্রিন্টিংয়ে রেকর্ড সময় ছিল ১৩.৬৭ সেকেন্ড।

ব্লেজের পিতা ওই একাউন্ডে লিখেছেন, আমি গর্বিত আমার ব্লেজের জন্য। তার বয়স মাত্র ৭ বছর। সেই বিশ্বের ৭ বছর বয়সী সবচেয়ে গতিশীল শিশু হতে পারে। যেসব প্রশিক্ষণ তাকে দেয়া হয়েছে তার জন্য তাকে ভালবাসা।

গত দুটি অ্যামেচার অ্যাথলেটিক ইউনিয়ন জাতীয় চ্যাম্পিয়ন ইভেন্টে ৩৬টি মেডেল জিতেছে ব্লেজ। এর মধ্যে ২০টি রয়েছে স্বর্ণপদক। যখন তার বয়স ৬ বছর তখনই পিছন দিকে দৌড়ানো শুরু করে। এখনও নিরাপদে সে যেকোন কঠিন কসরত করতে পারে। ভিডিওতে তাকে দেখা যায় কিভাবে বিদ্যুতবেগে তার প্রতিদ্বন্দ্বিদের পিছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। ওই ভিডিওটি দেখলে বিস্মিত না হয়ে থাকা মানুষ খুব কমই আছেন।

ইয়োথ ওয়ান ডট কম’কে তার কোচ জিমি ওয়াটসন বলেছেন, সে কিভাবে লড়াইয়ের ময়দানে নিজেকে সঁপে দেয় তা যেন অবিশ্বাস্য। পিছন দিকেও সে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে দৌড়ায়। তার মধ্যে আমি যা দেখেছি ৬ বছর বয়স যখন তখন তার মধ্যে এতটা প্রখরতা দেখি নি। এক সেকেন্ডে তাকে আপনি দেখবেন একদিকে। চোখের পাতা বন্ধ করে খুলুন। দেখবেন সে অন্যদিকে। যেন আপনার চোখের নিমেষেই সে উড়ে বেড়ায়।

 

তথ্য সূত্র, মানবজমিন