• ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

শাহ আরেফিন টিলা থেকে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯
শাহ আরেফিন টিলা থেকে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন

শাহ আরেফিন টিলা থেকে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন

সিলেট সুরমা ডেস্ক : সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরফিন টিলায় পাথর উত্তোলন করে ঘনঘন শ্রমিক নিহতের ঘটনা রোধ ও টিলা রক্ষায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ বাদী হয়ে ১৯ জন পাথর উত্তোলনকারীর নাম উল্লেখ করে ও প্রায় ৪০জনকে অজ্ঞাত আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-১৬, (১৮.০২.২০১৯ইং)।

এর আগে পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি তাজুল ইসলামের নির্দেশে এসআই খায়রুল বাশার ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল সোয়া ১১টায় শাহ আরফিন টিলায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে ডিজেল ইঞ্জিন, প্লাস্টিকের পাইপ সহ সাড়ে ২১ হাজার টাকার মালামাল জব্দ করা হয়। এসময় বিভিন্ন সূত্রে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারীদের মূল হোতা ১৯ জনের নাম পাওয়া যায়। মামলায় সেই ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে আসামী করা হয়।

মামলায় কাঠাল বাড়ি গ্রামের জিহাদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী, জালিয়ারপাড় গ্রামের শুকুর মিয়ার ছেলে বশর মিয়া, হাজী কনাই মিয়ার ছেলে আলী হোসেন ও চিকাডহর গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে আলী নুরকে প্রধান আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্ত আসামিরা দীর্ঘদিন যাবত শাহ আরফিন টিলা থেকে বিপজ্জনকভাবে অবৈধ মেশিন ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে মাটিতে গভীর গর্ত করে প্রায় ২ কোটি টাকার পাথর চুরি করে ও সরকারি টিলা ভূমির প্রাকৃতিক ভারসাম্যের অপূরনীয় ক্ষতি করেছে।

এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ এই টিলায় পাথর উত্তেলন বন্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করি। গত ১২ ফেব্রুয়ারি শাহ আরফিন টিলায় শ্রমিক নিহত রোধ, অবৈধ ও বিপজ্জনকভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধে সকাল-সন্ধ্যা মাইকিং করানো হয়। পাশাপাশি শাহ আরফিন (রহ.) মাজারের আশপাশে লাল নিশানা উড়িয়ে দেয়া হয়। এতো কিছুর পরও পাথর উত্তোলন বন্ধ না হওয়ায়, পাথর উত্তোলন বন্ধে ও সরকারি ভূমি রক্ষার্থে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর যাবত অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করায় ওই টিলায় ঘনঘন শ্রমিক নিহত হচ্ছেন। পাথর উত্তোলনকারীরা নানা প্রলোভন দিয়ে অসহায় শ্রমিকদের ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাথর উত্তোলন করতে প্ররোচণা দিয়ে কাজে নেওয়া হয়। যার কারণে শ্রমিকরা পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে মারা যায়, হতাহতের ঘটনাও ঘটে। যে ভাবেই হোক এই পবিত্র জায়গাকে রক্ষা করার জন্য আমরা মাঠে থাকবো। পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান আরো বৃদ্ধি করা হবে।’