সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে পিঠিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় হামলাকারী প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত সুমন ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর থানার হলদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালেব উরফে আলী হোসেনের ছেলে সুমন (২২)। বর্তমানে সে দক্ষিণ সুরমার জৈনপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার কলোনীতে বসবাস করে আসছে। ২০ ফেব্রুয়ারী রাত আনুমানিক ৯ টায় দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ সুমনকে জৈনপুর এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর ২১ শে ফেব্রুয়ারী তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে।
থানা ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জৈনপুর গ্রামের আব্দুল বাতিন সাগর আহমেদের পুত্র গোটাটিকর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র এসএসসি পরীক্ষার্থী শাকিল আহমদ (১৮)কে গত ১২ ফেব্রুয়ারী রাতে জৈনপুরে অবস্থিত তুহিন রেষ্ট্রুরেন্টের ভেতরে আসামীরা লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিঠিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় শাকিলের পিতা মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী শেখ ফয়জুর রহমানের ছেলে মো. আব্দুল বাতিন সাগর আহমদ বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো দুজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- (২০), তারিখ-২১/০২/২০১৯ইং। ধারা ৩২৩/৩০৭/৫০৬ । মামলার প্রধান আসামী সুমনকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও অপর এজাহার নামীয় আসামী রুহেল এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করলেও পুলিশ বলছে পলাতক। রুহেল (২২) জৈনপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের পুত্র। অপরদিকে মামলা আপোষে সমাধানের জন্য এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি মামলার বাদীকে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মামলার বাদী মো. আব্দুল বাতিন সাগর আহমদ জানান, তার ছেলেকে মাথায় আঘাত করার কারণে তার স্মৃতিশক্তির অবনতি হচ্ছে। পরিচিতজনদের চিনতে শাকিলের অনেক দেরি হয়। তিনি তার ছেলের উপর অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের কঠিন শাস্তি দাবী করেন এবং প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।