• ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ৯ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

মোহাম্মদপুরের বসিলায় আস্তানার ভেতরে কেউ জীবিত নেই

sylhetsurma.com
প্রকাশিত এপ্রিল ২৯, ২০১৯
মোহাম্মদপুরের বসিলায় আস্তানার ভেতরে কেউ জীবিত নেই

সিলেট সুরমা ডেস্ক :  রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা টিনশেড বাড়িটিতে র‌্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটসহ বিশেষ ফোর্স ঢোকার পর বাহিনীর লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জানিয়েছেন, আস্তানার ভেতরে কেউ জীবিত নেই। অবিস্ফোরিত অবস্থায় ইমপ্রোভাইজ এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টার দিকে র‌্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও স্পেশাল ফোর্সের সদস্যরা বাড়িটির ভেতরে ঢোকার খানিকক্ষণ পর মুফতি মাহমুদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। বিশেষ ফোর্স ঢোকার পর বাড়িটিতে কয়েক দফা গুলির শব্দ শোনা যায়। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে র‌্যাবের পক্ষ থেকে ড্রোন ওড়াতে দেখা যায় ওই এলাকায়।

খানিকক্ষণ পর মুফতি মাহমুদ খান বলেন, আস্তানার ভেতরে কেউ জীবিত নেই। অবিস্ফোরিত অবস্থায় আইইডি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। সেজন্য বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছে। অবিস্ফোরিত আইইডিগুলো নিষ্ক্রিয় করার কাজ করছে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোর সাড়ে ৩টার দিকে ওই বাড়িটি ঘিরে ফেলা হয়। এরপর থেকেই বাড়িটি ঘিরে অভিযান চালাচ্ছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। শুরুতেই ওই বাসার একটি কক্ষ থেকে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এরপর ভেতর থেকে র‍্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে র‍্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে।

এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাসার কেয়ারটেকার সোহাগ, তার স্ত্রী মৌসুমী ও বাসার কাছের একটি মসজিদের ইমাম ইউসুফকে আটক করা হয়েছে। তবে বাসায় অবস্থান নেওয়া জঙ্গিদের বিষয়ে স্পষ্ট কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি।

কেয়ারটেকার সোহাগ জানান, সন্দেহভাজন দুই যুবক এক/দেড় মাস আগে বাসাটি ভাড়া নেয়। তবে বাসা ভাড়া নেওয়ার সময় তারা কোনো নাম-ঠিকানা জমা দেয়নি।

ওই বাসার আরেক বাসিন্দা জুনায়েদ  জানান, বাসাটিতে চারটি রুমে চার পরিবার থাকেন, তার একটিতে পরিবারসহ ভাড়া থাকেন তিনি। বাসার কেয়ারটেকার সোহাগ ডিশের ব্যবসা করেন। তবে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই তার।

 

তথ্য সূত্র,  বাংলানিউজ