• ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সিলেটে রাষ্ট্রীয় ৩ বিভাগের অভিযোগ পরামর্শে গণশুনানি অনুষ্টিত

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জুন ১৬, ২০১৯
সিলেটে রাষ্ট্রীয় ৩ বিভাগের অভিযোগ পরামর্শে গণশুনানি অনুষ্টিত

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সিলেট জোন, বিআরটিএ সিলেট ও বিআরটিসি সিলেট ডিপো এর কার্যক্রম সম্পর্কে গণশুনানী অনুষ্টিত হয়। শনিবার সকাল ১০টায় রায়নগর রাজবাড়িস্থ সওজ সিলেট জোন অফিস চত্বরে গণশুনানী অনুষ্টিত হয়েছে। গণশুনানীতে সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন, সওজ সিলেট জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তুষার কান্তি সাহা ও সিলেট জোন বিআরটিএ ও বিআরটিসির কর্মকর্তাগণ। গনশুনানীতে সর্বসাধারণের অভিযোগ ও পরামর্শ সরাসরি গ্রহণ করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। সিলেট সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, সিলেট জোন বিআরটিএ ও বিআরটিসি সিলেট বিভাগের কার্যক্রম সম্পর্কে গণশুনানীতে খোলামেলা মতামত প্রদান করেন উপস্থিত সর্বসাধারণ। গণশুনানীতে এশিয়ান ডেভেলাপম্যান্ট বাংক (এডিবি) এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক চার লেন রোড, সিলেট –চারখাই-শেওলা-সুতারকান্দি রোড ৪৩.২০ কিলোমিটারের রাস্তার ম্যাপ পরিবর্তনের আবেদন জানিয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ডবাসীর পক্ষ থেকে মতামত উপস্থাপন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হক। গণশুনানীতে উপস্থিত থেকে বক্তব্যে রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র(১) ও ২৬ নং ওয়ার্ডের পরপর ২ বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর রোটারিয়ান তৌফিক বকস্ লিপন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজম খান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম এ মন্নান,  দক্ষিণ সুরমার ঝালোপাড়া পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক জুনেদ আহমদ, পরিবহন শ্রমিক নেতা গোলাম হাফিজ লোহিত,  সমাজসেবী আব্দুস ছত্তার মামুন, আসাদুজ্জামান রনি, শাহীন মিয়া, এনাম আহমদ, আল মামুন, জিল্লুর রহমান, হেলাল আহমদ সংগ্রাম প্রমুখ। বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হক তাঁর বক্তব্যে বলেন,  এশিয়ান ডেভেলাপম্যান্ট বাংক (এডিবি) এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক চার লেন রোড প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য  প্রজেক্ট ডাইরেক্টর (এসিই) আরএইচডি টেকনিক্যাল এসিসটেন্স ফর সাব রিজিওনাল রোড ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট প্রিপারেটরি ফেসেলিটি-২,১৩২/৪ নিউ বেইলী রোড, ঢাকা কর্তৃক নিয়োগ পেয়ে কয়েকদিন যাবৎ সিলেট কীনব্রীজ দক্ষিণ মোড় হতে চাঁদনীঘাট-ঝালোপাড়া-কদমতলী- মুক্তিযোদ্ধা চত্বর-গোটাটিকর-আলমপুর-কুশিঘাট হয়ে জকিগঞ্জ/সুতারকান্দি রোডের উভয় পার্শ্বে , ২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত স্থানে মাপ ঝোক করা হচ্ছে। বর্তমান বিদ্যমান রোডের মধ্যখান হতে এক পার্শ্বে ৯৫ ফুট ও অন্য পার্শ্বে ৭৭ ফুট চিহ্ন দেওয়া হয়েছে। চিহ্ন বরাবর ভুমি চার লেন রাস্তার জন্য অধিগ্রহন করা হবে বলে শুনা যাচ্ছে। যা সার্কভূক্ত রাস্তা হিসেবে পরিচিত হবে । ২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ডের অভ্যান্তরে গণবসতিপূর্ন এলাকায় চিহ্ন মোতাবেক ভুমি অধিগ্রহন করলে অত্র এলাকার ১০টি মসজিদ, ২৫টি কবরস্থান, ৪টি মাজার, ৬টি স্কুল, ১টি কলেজ, ৩টি মাদ্রাসা, ২টি সরকারী কারিগরী স্কুল,ফায়ার সার্ভিস অফিস, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, বিভাগীয় কমিশনার অফিস, ডিআইজি অফিস,বিসিক শিল্পনগরী গোটাটিকরসহ -বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, বাসা বাড়ি, মার্কেট, বিপনীবিতান, ইমারতসহ শিল্প কারখানা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। চার লেনের রাস্তাটি হযঃ শাহপরান (রঃ) ব্রীজের দক্ষিণ পাড়ের মোড়, যা পীর হাবিবুর রহমান চত্বর হতে চন্ডিপুল চত্বর অথবা পীর হাবিবুর রহমান চত্বর হতে হাওরের  মধ্য দিয়ে লালাবাজার হয়ে ঢাকা মহা-সড়ক এর সাথে মিলিত করে চারলেন রাস্তা তৈরি করলে বেচেঁ যাবে ২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ডের অভ্যান্তরে থাকা মসজিদ, কবরস্থান, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, বাসা বাড়ি, মার্কেট, বিপনীবিতান, ইমারতসহ শিল্প কারখানা। সেই সাথে সরকারের অধিক টাকার সাশ্রয় হবে। সিটি কর্পোরেশনের বাহিরে চারলেন রাস্তা নির্মাণ করলে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানের জেলার সাথে যোগাযোগ সহজতর হবে বলে লিখিত মত প্রকাশ করেন তিনি। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।