ঢাকা ১৯শে মে, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৫৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৭
আব্দুল আহাদ:::
সাদিক আহমদ। বয়স ২৫ বছর। চাকরি করতে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে যাওয়ার অভিপ্রায়ে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হয়। সেই অনুযায়ী সম্প্রতি গামকা মনোনীত সিলেটের শিবগঞ্জ, সোনাপাড়ায় জেবি মেডিকেল সেন্টারে পরীক্ষা করালে তার টিপিএইচএ (ট্রিপোনেমা পাল্লিডাম হেমাগগোটিনেশন) অর্থাৎ সিফিলিস রোগ ধরা পড়ে। সন্দেহ হলে সেনাবাহিনী পরিচালিত আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি ও আন্তজার্তিক উদারাময় গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) এর মলিকুলার অ্যান্ড সেরোডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে আবারো টিপিএইচএ পরীক্ষা করান সাদিক। পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠান দুটি থেকে টিপিএইচ নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে চাকরি নিয়ে মধ্যপ্রাচের দেশগুলোতে যেতে হলে প্রত্যেককে জিসিসি অ্যাপরোভড মেডিকেল সেন্টারস্ অ্যাসোসিয়েশন (জিএএমসিএ/গামকা) মনোনীত মেডিকেল সেন্টার থেকে বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হয়। তবে গামকা মনোনিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরীক্ষা করাতে গিয়ে সাদিকের মত শত শত যুবক প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতারণার শিকার সাদিক আহমদ কান্নাজড়িত কণ্ঠে দৈনিক সিলেট সুরমার প্রতিবেদককে বলেন, পরীক্ষা করাতে যাওয়ার আগেই তিনি প্রবাসী এক বন্ধুর কাছে শুনেছিলেন, ঘুষ না দিলে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ফিট হলেও আনফিট রিপোর্ট দেয়া হয়। ওই বন্ধুও তিনবার আনফিট রিপোর্ট পাওয়ার পর চতুর্থবার ঘুষ দিয়ে ফিট রিপোর্ট পেয়ে সৌদিআরব গেছেন।
সাদিক আহমদের প্রশ্ন, ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর ল্যাবরেটরির পরীক্ষার মান কি আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি ও আন্তজার্তিক উদারাময় গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) এর চেয়ে উন্নত। তবে, অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক আকরাম হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, তার ল্যাবরেটরির পরীক্ষার রিপোর্ট শতভাগ সঠিক। এমনকি টাকা (ঘুষ) নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা তথ্য দিতে ব্যাধ নই, আমাদের কাছে বিএমএ’র লিখিত নোটিস আছে। কিন্তু উনি এরকম কোনো কাগজ দেখাতে পারেন নি। সিলেটে গামকা মনোনীত ৪টি মেডিকেল সেন্টার রয়েছে। এগুলো হলো- জেবি মেডিকেল সেন্টার, এবিসি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আল হামাদ হেলথ সেন্টার, মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক মেডিকেল সেন্টার। সিলেটের একাদিক ট্রেভেল ব্যবসায়ী বলেন, গামকা মনোনীত সেন্টার গুলোতে যা খুশি তা করছে। তাদের এখানে ৩৫-৪০ হাজার টাকায় আনফিট লোক ও ফিট হয়ে যায়। সাদিক আহমদের টিপিএইচএ পজেটিভ রিপোর্ট প্রসঙ্গে জেবি মেডিকেল সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক আকরাম হোসেনের কাছে চানতে চাইলে তার প্রতিষ্ঠানের ল্যাবরেটরির রিপোর্টই শতভাগ সঠিক দাবি করেন। তিনি আরো জানান, কোনো রোগীকে একবার পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেন না। ল্যাবরেটরিতে একাধিকবার পরীক্ষার পর নিশ্চিত হয়ে রিপোর্ট প্রদান করা হয়। আইসিডিডিআরবি ও আমর্ড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের ল্যাবরেটরির রিপোর্টে টিপিএইচএ নেগেটিভ এসেছে জানালে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে রোগীকে সঙ্গে নিয়ে ল্যাবরেটরিতে আসার জন্য অনুরোধ জানান।
উপদেষ্টা সম্পাদক : ওয়াহিদুর রহমান
সম্পাদক ও প্রকাশক মো. নাজমুল ইসলাম
নির্বাহী সম্পাদক : আমিনুল ইসলাম রোকন
সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ফোন : ০৮২১-৭১১০৬৯,
মোবাইল : (নির্বাহী সম্পাদক-০১৭১৫-৭৫৬৭১০ )
০১৬১১-৪০৫০০১-২(বার্তা),
০১৬১১-৪০৫০০৩(বিজ্ঞাপন), ইমেইল : www.sylhetsurma2011@gmail.com
ওয়েব : www.sylhetsurma.com
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি