• ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সিলেটের ডাকের ডিক্লারেশন বাতিলের আদেশ হাই কোর্টে স্থগিত

sylhetsurma.com
প্রকাশিত অক্টোবর ১, ২০১৮

সিলেট সুরমা ডেস্ক : বিভাগীয় শহর সিলেট থেকে প্রকাশিত দৈনিক সিলেটের ডাক পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের আদেশ তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাই কোর্ট।

হাই কোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর এবং আতাউর রহমান খান সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বুধবার এ স্থগিতাদেশ দেন।

দৈনিক সিলেটের ডাক-এর আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল হালিম কাফি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হাই কোর্টের এ আদেশের ফলে দৈনিক সিলেটের ডাক প্রকাশে আর কোন বাধা নেই বলে জানান ব্যারিস্টার কাফি।

ব্যারিস্টার কাফি ছাড়াও দৈনিক সিলেটের ডাক-এর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন এবং এডভোকেট নিজাম উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

সিলেটের ডাক পত্রিকার প্রকাশক রাগীব আলী ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় প্রিন্টিং প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন ডিক্লারেশন অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট ১৯৭৩ এর সেকশন ২০ অনুযায়ী গত ১৮ জুন সিলেটের জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার দৈনিক সিলেটের ডাক-এর ডিক্লারেশন বাতিল করেন।

ডিক্লারেশন বাতিলের এআদেশের বিরুদ্ধে রাগীব আলী হাই কোর্টে রিট করেন। যার শুনানি নিয়ে গত ১৭ জুলাই হাই কোর্ট রুল দেন। পরে ফৌজদারি ওই মামলায় তিনি গত ২৯ আগস্ট হাই কোর্ট থেকে জামিন পান। পরবর্তী সময়ে ২৪ অক্টোবর তা আপিল বিভাগে বহাল থাকে। এ অবস্থায় পত্রিকাটির প্রকাশনা বাতিলবিষয়ক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়। এতে সাড়া না পেয়ে রাগীব আলী একটি আবেদন করেন।

এরপ্রেক্ষিতে বুধবার হাই কোর্ট এ আদেশ দেন।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন রাগীব আলীর ছেলে আবদুল হাই। দেবোত্তর সম্পত্তির তারাপুর চা-বাগান দখলের মামলার আসামি হওয়ার পরপর আবদুল হাইয়ের বদলে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয় অন্য একজনকে। পরে মামলার রায়ে সাজাপ্রাপ্ত হলেও রাগীব আলীর নাম পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি হিসেবে রেখে পত্রিকার প্রকাশনা অব্যাহত রাখা হয়। এ ব্যাপারে একাধিক নোটিশ জারি করার পর পত্রিকা প্রকাশনা বাতিল ঘোষণা করা হয়।

সিলেট নগরের পাঠানটুলায় দেবোত্তর সম্পত্তি তারাপুর চা-বাগান ভুয়া সেবায়েত সেজে ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জাল করে দখল করা হয়। ১৯৯৯ সালের ২৫ আগস্ট ভূমি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তারাপুর চা-বাগান পুনরুদ্ধারের সিদ্ধান্ত হলে ২০০৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম আবদুল কাদের বাদী হয়ে দখলদার রাগীব আলী, তার ছেলে আবদুল হাইসহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের রায়ে মামলা দুটি পুনরুজ্জীবিত করে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়। বিচারিক আদালতে রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাই দণ্ডপ্রাপ্ত হন।