• ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

হত্যার হুমকির অভিযোগে চেয়ারম্যান কালামের বিরুদ্ধে জিডি

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জুন ৭, ২০১৮
হত্যার হুমকির অভিযোগে চেয়ারম্যান কালামের বিরুদ্ধে জিডি

আম নিলামকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ নেতা, পরিবহন ব্যবসায়ি চাচাতো ভাইকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন আলোচিত ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম। ¬¬এঘটনায় মোগলা থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন হুমকির হাজী গোলজার আহমদ। জিডি নং ১৯১, তারিখ- ৫.০৬.১৮ইং। হাজী গোলজার আহমদ জানিয়েছেন, একাধিক মোবাইল ফোন (নং হাইড করে) থেকে এখন কালামের পক্ষ নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি গোষ্টি পরিচয়ে তাকে নানাভাবে হুমকি অব্যাহত রাখা হয়েছে। কালামের হত্যা হুমকির ঘটনায় তোলপাড় চলছে ইউনিয়ন জোড়ে। অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করে বলছেন, ছেলে-ভাতিজাকে ডেকে এনে ভাইর উপর হামলার উসকানী নজিরবিহীন। তারা তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলছেন। গত সোমবার দক্ষিণ সুরমা কুচাই ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রাম মসজিদ প্রাঙ্গনে বাদ আসর প্রকাশ্যে এ হত্যা হুমকির ঘটনা ঘটে। সূত্র জানায়, নামাজ শেষে মসজিদের আম নিলামের ঘোষনা দেন মোয়াজ্জেম। এসময় তিনি বলেন, মহল্লার বাসিন্দা লন্ডন প্রবাসী সাদিক আহমদ, আম ক্রয়ের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, এমনকি ৬ হাজার টাকা এ বাবদ দিবেন বল্ওে প্রতিশ্রতি দিয়েছেন। বিষয়টি জানানোর সাথে সাথে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন চেয়ারম্যান আবুল কালাম। তিনি বলেন, দুরে বসে আম ক্রয় করা যাবে না, উপস্থিত ডাকে আম বিক্রয় হবে। তার এরকম বক্তব্যে প্রতিবাদ করেন প্রবাসী সাদিকের ভাই হাজী গোলজার আহমদ। তিনি বলেন, মহল্লা বাসিন্দা হিসেবে আম ন্যায্য মূল্যে ক্রয় করার অধিকার যে কারো আছে, বরং সাদিক এর ধার্য্য মূল্যে আমের প্রকৃত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি। মসজিদের স্বার্থে অতিরিক্ত মূল্যে অবশ্যই বিক্রয় ক্ষেত্রে বিবেচনা করা দরকার। কিন্তু হাজী গোলজারের এ বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমনে গায়ে পড়ে এগিয়ে আসেন চেয়ারম্যান আবুল কালাম। উদ্দেশ্য প্রণোধিতভাবে হাজী গোলজারের উপর চড়্ওা হ্ওয়ার চেষ্টা করেন, এসময় উপস্থিত মুসল্লিারা হতভম্ব হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে বেসামাল হয়ে পড়েন চেয়ারম্যান আবুল কালাম। সুর চিৎকার দিয়ে নিজের ছেলে ফাহিম ্ও অন্য ভাতিজাদের আহবান করেন অস্ত্র নিয়ে আসার জন্য। এসময় তার ছেলে ফাহিম ধারালো দা নিয়ে হামলার জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে উপস্থিত মুসল্লিরা তাদের নিয়ন্ত্রন করে পরিস্থিতি সামাল দেন। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান আবুল কালাম হত্যার হুমকি দিয়ে হাজী গোলজারকে বলেন, ‘৫ মিনিটের মধ্যে দা দিয়ে টুকরো টুকরো করে’ তুকে দুনিয়া থেকে তুলে ফেলবো। চেয়ারম্যান কালামের এমন হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন হাজী গোলজার আহমদ ্ও তার পরিবারের সদস্যরা। তারা মনে করছেন, আবুল কালাম বা তার পোষ্য সন্ত্রাসী বাহিনী যেকোন সময় তাতের জান মালের অপূরনীয় ক্ষতি করতে পারে। এরকম কোন ক্ষতি হলে তার দায় দায়িত্ব চেয়ারম্যান আবুল কালামের উপর বর্তাবে বল্ওে জানান হাজী গোলজার আহমদ। হাজী গোলজার আহমদ আশংকা প্রকাশ করে বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছেন চেয়ারম্যান আবুল কালাম। কারন কালাম শুধু ব্যক্তি নন, একজন জনপ্রতিনিধি। একজন জনপ্রতিনিধির দায়িত্বহীন আচরনে যে কেউ এখন ক্ষতির মধ্যে পড়তে পারে। একরম ক্ষতির শিকার এখন আমি নিজে। কারন আমার বাবা মরহুম হাজী আইয়ুব আলী দারা মিয়ার অবদানে চেয়ারম্যান হ্ওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।