• ৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৩রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ভারি বৃষ্টিতে সিলেট নগরে ফের জলাবদ্ধতা

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জুন ৯, ২০২৪
ভারি বৃষ্টিতে সিলেট নগরে ফের জলাবদ্ধতা

সিলেট নগরের দরগাহ মহল্লা এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা

ভারি বৃষ্টিতে সিলেট নগরে ফের জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে নগরের অনেক এলাকা।

শনিবার রাত ৯ টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। রাত ১২ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৃষ্টি চলছে।

বৃষ্টির কারণে সিলেট নগরের অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। শনিবার রাতে নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টিতে নগরের উপশহর, তেররতন, দরগাহ মহল্লা, জালালাবাদ, তালতলা, জামতলা, মিরের ময়দানসহ বিভিন্ন এলাকয়ে জলাবদ্থা দেখা দিয়েছে।

নগরের দরগাহ মহল্লা এলাকার বাসিন্দা, প্রকাশনা সংস্থা চৈতন্য’র সত্ত্বাধিকারী রাজিব চৌধুরী বলেন, শনিবার রাতে কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতেই দরগাহ মহল্লা এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। সড়কে হাঁটু সমান পানি জমেছে। এলাকার বিভিন্ন বাসা বাড়িতেও পানি ঢুকে পড়েছে।

রাতে সাংবাদিক সালমান ফরিদ ফেসবুকে লিখেন- স্মার্ট কাম স্যাটেলাইট সিটি সিলেট মহানগরী থেকে বলছি। ২ ঘন্টারও কম সময়ের বৃষ্টিতে মিরের ময়দান এলাকার কেওয়াপাড়ার বাসায় পানি। নিচতলায় পানি থৈথৈ করছে। হাঁটু পানি। ভাগ্য ভাল আমি উপর তলার বাসিন্দা। সিঁড়ির নিচেই পানি আপাতত। তবে উপরতলার দিকে উর্ধ্বমুখী। কতক্ষণ লাগবে উপরতলা ছুঁতে?!?!

সিলেট আবহাওয়া অফিসর সহকারী আবহাওয়াবিদ শহা মো. সজিব জানিয়েছেন শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত ৩ মিলিমিটার এবং ৯ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত ২২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

এরআগে গত ২ জুন রাতে ভারি বৃষ্টিতে সিলেট নগরে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। পানিতে তলিয়ে যায় নগরের শতাধিক এলাকা। এতে দুর্ভোগে পড়েন এসব এলাকার বাসিন্দারা।

পানি ঢুকে পড়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়ও। ডুবে গেছে কয়েকটি প্রধান সড়ক। ঘরের ভেতর পানি প্রবেশ ঠেকাতে রাত জেগে পাহারা দেন নগরবাসী। তবু শেষ রক্ষা হয়নি।

এর আগে গত ২৯ মে এক রাতের ঢলে তলিয়ে গিয়েছিলো সিলেটের পাঁচ উপজেলা।পিুরো জেলায় দেখা দিয়েছিলো বন্যা পরিস্থিতি। তবে কয়েকদিন ধরেই কমছিলো পানি। শনিবার জেলায় কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার কিছুটা ওপরে অবস্থান করলেও আর সব কটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে অবস্থান করছে।

জেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো থেকে অধিকাংশ লোকজন নিজেদের ঘরবাড়িতে ফিরে গেছেন। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, জেলার ৫৫১টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৪৪০ জন অবস্থান করছিলেন।

এরমধ্যে শনিবার রাতের বৃষ্টিতে নতুন করে দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী।