• ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

আবর্জনায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য হারাচ্ছে মাধবকুন্ডের ‘পরীকুন্ড’

sylhetsurma.com
প্রকাশিত আগস্ট ২০, ২০১৬

02দেশের অন্যতম পিকনিক স্পট মাধবকুন্ড জলপ্রপাত। এখােন গড়ে তোলা পর্যটন কেন্দ্র। কিন্তু দায়িত্বশীলদের সীমাহীন অনিয়ম, চাঁদাবাজি, পর্যটকদের বিষিয়ে তোলে। তাছাড়া ময়লা-আবর্জনায় স্তুপ দেখে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করা দুস্কর হয়ে ওঠে। তারপরও কর্তৃপক্ষের মতে, মাধবকুন্ড জলপ্রপাত অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বেশি পর্যটকদের কাছে টেনেছে।
মাধবকুন্ডে যাতায়াত সড়ক সংস্কার ও প্রশস্ত হওয়ায় পর্যটকদের যাতায়াত দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে। ফলে যাতায়াত ভোগান্তি হবে না যেনে পর্যটকরা আরামে যানবাহন নিয়ে পর্যটন এলাকার গাড়ি পার্কিং স্থান পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছেন এবার।
এদিকে ইজারাদার কর্তৃপক্ষ কোনো নিয়ম তথা ইজারা আইন মানছে না। নিজেদের ইচ্ছেমতো পরিচালনা করছে। পর্যটক হয়রানি, চাঁদাবাজি যেনো নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার তাদের কাছে। ইজারার নিয়মানুযায়ী ৫জন লোক দ্বারা প্রতিদিন পর্যটন এলাকা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। কিন্তু সেটি বাস্তবে প্রতিদিন তো দূরের ১৫ দিনেও একবার হয় কি-না সন্দেহ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কাপড় চেঞ্জিং এর স্থানটিতে লতাপাতা ও আবর্জনার স্তুপ। ইকোপার্কের গেটের ভেতরে টাইলসের ওপরে স্তুপ স্তুপ মাটি জমাট রয়েছে। জলপ্রপাতের ঝর্ণার পানিতে নোংরা-আবর্জনা চোখে পড়ে। বনবিভাগও পর্যটনের উন্নয়নে তেমন আগ্রহী কিংবা আন্তরিকতার পরিচয় না দেয়ায় মাধবকুন্ড ঝর্ণাধারার উপরে অন্য একটি কুন্ড রয়েছে যা ‘পরীকুন্ড’ নামে স্থানীয়দের কাছে পরিচিত। সেটি মূল ঝরণার ৪০০ ফুট পশ্চিম-দক্ষিণে অবস্থিত। এটি উপভোগের ব্যবস্থা করা হলে পর্যটকরা বাড়তি আকর্ষণ পেতেন। পাশাপাশি পর্যটক সংখ্যা বৃদ্ধি পেতো, সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পেতো।
বনবিভাগ কর্তৃপক্ষ ঝর্ণার বিপদজনক স্থানে সীমানা বেড়া ও রেলিং করার কারণে ঝর্ণার মূল জায়গা কমে গেছে। পর্যটকের আনন্দ উপভোগে ব্যাঘাত ঘটছে। বিপদজনক স্থানে সীমানা বেড়া না দিয়ে উপরের পানিপড়া সাময়িক বন্ধ রেখে (মওসুমে) শুকিয়ে বিপদজনক স্থান চিহ্নিত করে লোহার ভারী নেট ধারা আবৃত করা হলে দর্শনার্থীদের আনন্দ উপভোগের জন্য পরিসর বৃদ্ধি পোতা।
২০১৫ সালে দায়িত্বে থাকা বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আমিনুর রহমান পর্যটকের জন্য হুইল চেয়ার, সাঁতার কাটার জন্য লাইফ জ্যাকেট বিভিন্ন পশুপাখির ভাস্কর্য, শিশু পর্যটকদের জন্য দোলনা ও সৌন্দর্য্য বাড়াতে ইকোপার্কের রাস্তার দু’পাশে ফুলের চারা রোপণ করেছেন। এর জন্য তিনি প্রশংসিতও হয়েছেন। পর্যটকদের আনন্দ উপভোগ বাড়াতে আরেকটি উদ্যোগ (যদি নেওয়া হয়) মাধবকুন্ড এলাকায় আদিবাসীদের বসবাস থাকায় সেখানে একটি নৃত্যালয় করা হলে আদিবাসীদের কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হতো। এছাড়া বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে পানির ফোয়ারার ব্যবস্থা করে মিউজিকের সাথে গানের ব্যবস্থা করলে পর্যটকরা বাড়তি আনন্দ পেতেন বলে পর্যটকরা মনে করেন।