• ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ৯ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

কদমতলীতে ওয়াজ ও মহা সম্মেলনের নামে লাখ টাকা লুট : আয়োজকরা পলাতক !

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ২৪, ২০১৯
কদমতলীতে ওয়াজ ও মহা সম্মেলনের নামে লাখ টাকা লুট : আয়োজকরা পলাতক !

জামেয়া ফারুকিয়্যাহ্ দারুল উলুম মাদ্রাসা

এম এ মালেক :
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নং ওয়ার্ডের কদমতলীতে ওয়াজ ও বার্ষিক মহা সম্মেলনের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা লুট করেছে প্রতারক চক্র। স্থানীয় দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাঁড়ির পাশেই এধরণের প্রতারণার ঘটনায় এলাকায় দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।  কদমতলীর অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত বালুর মাঠে নাম সর্বস্ব সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারক চক্র প্রতারণা করে আসছিলো।  প্রতারকরা এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। কদমতলীর বালুর মাঠে জামেয়া ফারুকিয়্যাহ্ দারুল উলুম মাদ্রাসা নামীয় একটি দুতলা ভবনের উপর তলায় ছিলো প্রতারকদের আস্তানা।  প্রতারকরা সিলেট শহর জুড়ে জামেয়া ফারুকিয়্যাহ্ দারুল উলুম মাদ্রাসার নাম দিয়ে ২য় বার্ষিক মহা সম্মেলনের নামে লিফলেট বিতরণ করে। পাশাপাশি তারা ১০ টাকা থেকে শুরু করে ২০/৫০/১০০ ও ৫০০ টাকার রশিদ বানিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আদায় করে অর্থ। ২য় বার্ষিক মহা সম্মেলনের তারিখ ছিলো ১৭ জানুয়ারী ২০১৯ ইং ।  অথচ তারা ওয়াজ কিংবা মহা সম্মেলন না করেই টাকা হাতিয়ে মাদ্রাসার আসবাব পত্র নিয়ে উধাও হয়ে যায়। সরেজমিন জামেয়া ফারুকিয়্যাহ্ দারুল উলুম মাদ্রাসা এলাকায় গিয়ে দেখা যায় সেখানে কেউ নেই। মাদ্রাসা যে ভবনে স্থাপিত সেই ভবনের মালিক কদমতলীর বাসিন্দা মুজিবুর রহমান মুজিব ঢাকায় অবস্থান করছেন। মুঠোফোনে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মাদ্রাসার নামে যে বা যারা চাঁদা আদায় করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা জরুরী। ওয়াজ কিংবা সম্মেলনের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি যদি সিলেটে অবস্থান করতেন, তাহলে তিনি প্রতারকদের ধরে পুলিশে সৌপর্দ করতেন। অপরদিকে ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র (১) রোটারিয়ান আলহাজ¦ তৌফিক বকস্ লিপন বলেন, তাঁর অজান্তে লিফলেটে তাঁর নাম দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা তার কাছে অভিযোগ করলে তিনি প্রতারকদের খোঁজে লোকজনকে চারিদিকে পাঠিয়েছেন বলে জানান।  লিফলেটে থাকা মাদ্রাসার সহ-সভাপতি ডা. মো. মখলিছুর রহমানের ০১৩১৮-৭৮২৩১৫ নং মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মাদ্রাসা যে ভবনে ছিলো সেই ভবনের মালিক মাদ্রাসা অন্যত্র স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিলে ওয়াজ মাহফিল বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া তিনি ওয়াজের নামে টাকা উত্তোলনের ব্যাপারে বলেন, মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল বারী এ ব্যাপারে বলতে পারবেন। মাওলানা আব্দুল বারী কত টাকা তুলেছেন ? তা ডা.মো. মখলিছুর রহমান জানেন না বলে মন্তব্যে করেন। এ ছাড়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল বারীর ব্যবহৃত ০১৮১৯-৫৪০৫০১ নং মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। মাদ্রাসার নিচ তলায় অবস্থিত ইমন অটো ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপের পরিচালক নিজাম উদ্দিন বলেন, মাদ্রাসার লোকজন মাদ্রাসার মালামাল নিয়ে চলে গেছে। তবে এখানে কোনো ওয়াজ মাহফিল হয়নি বলে জানান তিনি।  দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বেনু দেব জানান, ওয়াজ মাহফিলের বিষয়টি অত্যান্ত স্পর্শকাতর ও ধর্মীয়।  এ বিষয়ে কেউ যদি লিখিত অভিযোগ প্রদান করে তবে অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করবেন তিনি।