• ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

১২৪ টাকায় মেলে ১ দিনের জন্য !

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ৬, ২০১৯
১২৪ টাকায় মেলে ১ দিনের জন্য !

সিলেট সুরমা ডেস্ক : দেহ ব্যবসা আদিম এই পেশা পৃথিবীর প্রাচীনতম পেশাগুলির অন্যতম। অনেকের মতে, দেহ ব্যবসাই প্রাচীনতম। কিন্তু এত দীর্ঘ সময় পেরিয়েও সমাজের সবচেয়ে উপেক্ষিত শ্রেণির এই পেশার নাম- দেহ ব্যবসা! শুনলেই কানে আঙুল দেয় তথাকথিত ‘অভিজাতরা’। তাই এখনো পর্যন্ত যৌনপল্লি অনেকের কাছে এখনও ‘নিষিদ্ধপল্লি’।

যাদের প্রতিনিয়ত নতুন শরীর চাই ভোগের জন্য, তাদের জন্যই রমরমিয়ে সারাবিশ্বে যে ব্যবসা প্রভাব বিস্তার করেছে তার নাম দেহ ব্যবসা। অভাবের তাড়নায় কিংবা অন্যের প্ররোচনার ফাঁদে পা দিয়ে এই ব্যবসায় আসে হাজার হাজার মহিলা। বেশ কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় টাকা আয়ের জন্য কলেজ পড়ুয়া মেয়ে, গৃহবধু রাও এই ব্যবসায় নেমে পড়ে।

গোটা পৃথিবী জুড়ে প্রায় সকল দেশেই কমবেশি দেহ ব্যবসার কারবার রয়েছে। অনেক দেশেই তা বৈধ। যেসব দেশে অবৈধ সেখানে প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে রমরমিয়ে চলছে এই ব্যবসা। এশিয়ার মধ্যে সর্ব বৃহৎ নিষিদ্ধ পল্লী রয়েছে আমাদের ভারতেই।

আর সেটা খোদ কলকাতার বুকে। যার নামের সাথে আমরা কমবেশি সকলেই পরিচিত, “সোনাগাছি”। এই এলাকায় প্রায় ১৪ হাজার পতিতা বাস করে যারা প্রতিদিন নিজেদের শরীর বেচে চলেছে পেটের তাগিদে।

অনেক বহিরাগতই কলকাতায় এসে একটা বিশেষ প্রশ্ন করে থাকেন। এই শহরে দেহব্যবসা কেন একেবারই ওপেন? কলকাতা ‘সিন সিটি’ নয়, আমস্টারডামের ধারেকাছেও আসে না। তবু একটা বিশেষ শব্দ— ‘সোনাগাছি’ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন। কেন? সেসব প্রশ্নে পরে আসা যাবে। এখন এখানকার পরিস্থিতি টা একটু দেখুন। সোনাগাছি হতে পারে এশিয়ার সর্ববৃহৎ যৌন পল্লী, কিন্তু এখানকার মূল দুঃখের বিষয়টা খুবই ভয়াবহ। শুনলে আপনারও করুনা হবে এইসকল মহিলাদের প্রতি।

সোনাগাছি তে সব বয়সের মহিলাই পাওয়া যায়। এমনকি তাদের নাবালিকা মেয়েদের ও এই ব্যবসায় নামিয়ে দেওয়া হয়। যাদের বয়স খুব বেশি হলে ১২ থেকে ১৭ এর মধ্যে হবে। এই পল্লীতে অন্যান্য শহরের মতো টাকা ওড়ে না বরং কম পয়সার বিনিময়ে বিছানায়ে যৌন সুখ দিতে হয় আগত মানুষদের। সর্বনিন্ম মাত্র ১২৪ টাকার বিনিময়ে মেলে যৌন সুখ, যা রীতিমতো তাজ্জব করা ঘটনা।

হ্যাঁ, মাত্র ১২৪ টাকায় যৌন সুখ দিতে হয় এদের নিজেদের পেট চালানোর জন্য। কিন্তু সরকার সমস্ত কিছু জেনেও এদের জন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে না। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলো এদের জন্য যা করে ওটুকুই।