• ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

৫ দিনেও গ্রেফতার নেই কেউ

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১, ২০১৬

স্টাফ রিপোর্টার
নগরীর জিন্দাবাজারে তরুণ মিসবাহ উদ্দিন হত্যাকান্ডের ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো খুনি কাউকে চিহ্নিত করতে পারেনি। হত্যাকান্ডে জড়িত কেউই এখনো গ্রেফতার হয়নি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এক বন্ধুকে প্রধান আসামী এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৫ জনকে আসামী করে মামলা হয়েছে। ওই বন্ধুটিও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে।
জিন্দাবাজারের কাস্টমস অফিসের সামনে শনিবার সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে মিসবাহ উদ্দিনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার একদিন পর রবিবার রাতে নগরীর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের মা নাজমা বেগম। মিসবাহ উদ্দিনের বন্ধু কবীরকে প্রধান আসামী করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৬/৭জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার অভিযোগে উল্লেখিত প্রধান আসামী কবিরের বাড়ি দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বলদী গ্রামে। সে মৃত সোনা মিয়ার ছেলে।
সিলেট কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল আহমদ জানান- নিহতের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে। দ্রুত মূল আসামীকে গ্রেফতার করা হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
মামলার এজাহারে নাজমা বেগম উল্লেখ করেছেন- কবিরের সাথে মিসবাহ’র বিরোধ ছিল। হত্যাকান্ডের পর বন্ধু-সহপাঠীদের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারেন তারা। জিন্দাবাজারের কাজী ম্যানশনের একটি টেইলার্সের কর্মরত রয়েছে কবির।
নাজমা বেগম আরোও দাবি করেন- গত রমজান মাসে কবিরের সঙ্গে মিসবাহ’র বিরোধ হয়। কাজী ম্যানশনের ব্যবসায়ীরা তা সমাধান করে দেন। পরবর্তীতে তাদের দু’জনের মধ্যে নতুন কোন বিরোধ না হলেও কবিরের নেতৃত্বে ৬/৭ জনের উপস্থিতিতে মিসবাহকে খুন করা হয়েছে উল্লেখ করা হয় এজাহারে।
নিহত মিসবাহ উদ্দিন দোয়ারাবাজারের চন্ডিপুরের রহমত উল্লাহ’র ছেলে। বাবা জার্মান প্রবাসী হওয়ায় পড়ালেখার জন্য মা ও দুই বোনের সঙ্গে সে নগরীর মজুমদারী কোনাপাড়ার শ্রাবণী ৫৪ নম্বর বাসার ভাড়া থাকতেন। নগরীর মিরেরময়দানস্থ সিলেট কমার্স কলেজ থেকে এক বছর আগে এইচএসসি পাস করেন তিনি। পরে ভাল কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেনি মিসবাহ। তবে এ বছর তার ভর্তি হওয়ার কথা ছিল।
এ ব্যাপারে নগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র (১ম) রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন- ‘মিসবাহ একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। সে কোনরকম রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল না।’ তিনি অবিলম্বে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।