• ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সাবেক সচিব কে এম নুরুল হুদা প্রধান নির্বাচন কমিশনার

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৭

সিলেট সুরমা ডেস্ক :::: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সাবেক সচিব কে এম নুরুল হুদাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, সাবেক সচিব মো. রফিকুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ (রাজশাহী) বেগম কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরীকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
সোমবার রাত সাড়ে নয়টায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম তার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নাম ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলো থেকে প্রাপ্ত মোট ১২৮টি নামের মধ্য থেকেই অনুসন্ধান কমিটি এ ১০টি নাম সুপারিশ করে রাষ্ট্রপতির কাছে দাখিল করেন। এর মধ্যে ২ জনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ২ নারী সদস্যসহ ৮ জনের নাম নির্বাচন কমিশনার হিসেবে কমিটি সুপারিশ করেছেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রাষ্ট্রপতির নিয়োগকৃত নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে মাহবুব তালুকদারের নাম বিএনপি’র এবং বেগম কবিতা খানমের নাম আওয়ামী লীগের তালিকায় ছিল।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিয়োগকৃত সবার নামই অধিকাংশ রাজনৈতিক দলগুলোর দেয়া তালিকায় ছিল। হাতের কাছে এখন কোন রেকর্ড না থাকায় বলা গেল না প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নাম কোন্্ রাজনৈতিক দলের তালিকায় ছিল।
শফিউল আলম বলেন, রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের লক্ষ্যে সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্য পূরণে গত ২৫ জানুয়ারি ৬ সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেন। সে কমিটি তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে ও স্বাধীনভাবে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে সম্পন্ন করে আজ সন্ধ্যায় তাদের সুপারিশকৃত ১০ নামের তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে দাখিল করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রাষ্ট্রপতি সেই তালিকা থেকে উল্লেখিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেন।
তিনি বলেন, অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশকৃত তালিকায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার এবং নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. জারিনা রহমান খান, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক সদস্য মো. আবদুল মান্নান ও জানিপপ-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর নামও ছিল।