• ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

নবীগঞ্জ থানার নারী কনস্টেবলকে শ্বশুর বাড়িতে হত্যার অভিযোগ

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭

সিলেট সুরমা ডেস্ক ::: নবীগঞ্জ থানার কমর্রত নারী কনস্টেবল আয়েশা আক্তার নীলা (২৩) কে তার শ্বশুর বাড়িতে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে নীলার ৩ দেবরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। গত রোবাবর রাত সাড়ে ৮ টার দিকে নরসিংদি জেলার মনোহরদি থানার চারাকান্দি গ্রামস্থ নীলার শ্বশুর বাড়ি থেকে নীলার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সুত্রে জানা যায়, নরসিংদি জেলার মনোহরদি থানার চারাকান্দি গ্রামের জালাল মিয়ার পুত্র রুবেল মিয়ার স্ত্রী আয়েশা আক্তার নীলা দীর্ঘদিন ধরে নবীগঞ্জ থানায় কর্মরত ছিলেন। তিনি একই উপজেলার হাফিজপুর গ্রামের মফিজ উদ্দিনের কন্যা। গত কয়েক দিন আগে ১ মাসের ছুটি নিয়ে তার শ্বশুর বাড়িতে যান আয়েশা আক্তার নীলা।
পুলিশ জানায়, গত রোবাবর রাত সাড়ে ৮ টার দিকে নীলার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পুলিশকে খরব দেয় যে নীলা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশটি উদ্ধার করে। এসময় সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করতে গেলে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। পুলিশের সন্দেহ হয় যে নীলাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ সময় পুলিশ নীলার দেবর কবির, হিমেল ও সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। এ ঘটনার পর থেকে নীলার স্বামী রুবেল পলাতক রয়েছেন।
এদিকে, নবীগঞ্জ থানার নারী কনস্টেবল মনি আক্তার জানান, নীলার মৃত্যুতে আমরা হতবাক হয়েছি। তিনি তার সহকর্মী নীলার হত্যার সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবী করেন।
এ ব্যাপারে মনোহরদি থানার ওসি সাজ্জাত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পুলিশ ঘটনার খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দেবরকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নবীগঞ্জ থানার ওসি এস এম আতাউর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নীলা নবীগঞ্জ থানায় কর্মরত ছিল। গত কয়েকদিন আগে সে ১ মাসের ছুটি নিয়ে বাড়িতে যায়। তবে তার লাশ উদ্ধারের বিষয়টি জেনেছি।